আমাদের ভারত, ঠাকুরপুকুর, ১১ মে: ক্যানসার আক্রান্ত সন্তানদের চিকিৎসা করাতে ভিন জেলা ও ভিন রাজ্য এমনকি বাংলাদেশ থেকে এসেছিলেন মোট ৩২টি পরিবার। কিন্তু লকডাউনের ফলে তারা কার্যত গৃহবন্দি হয়ে রয়েছেন এলাকায়। খাবারের রসদও ফুরিয়েছে ৫০ দিনের লকডাউনের ফলে। একদিকে সন্তানের চিকিৎসা অন্যদিকে খাবারের সঙ্কটে ভুগতে থাকা এই পরিবারগুলির হাতে রবিবার খাদ্য সামগ্রী ও প্রয়োজনীয় জিনিষপত্র তুলে দিল পেটালস নামে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা।
রবিবার দুপুরে দক্ষিণ ২৪ পরগণার ঠাকুরপুকুর ও কলকাতার আনন্দপুর এলাকায় গিয়ে এই সমস্ত পরিবারগুলির হাতে প্রয়োজনীয় এই জিনিষপত্র তুলে দেন পেটালসের সদস্যরা।
দক্ষিণ কলকাতার ঠাকুরপুকুর ক্যানসার হাসপাতাল, কলকাতার এন আর এস ও কলকাতা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিজের নিজের ক্যানসার আক্রান্ত সন্তানদের নিয়ে মালদা, বীরভূম, আলিপুরদুয়ার, বিহার কেউ বা বাংলাদেশ থেকে চিকিৎসার জন্য এসেছিলেন। এই এলাকায় হাসপাতালের পাশেই বিভিন্ন জায়গায় ঘর ভাড়া নিয়ে সন্তানদের চিকিৎসা করাচ্ছেন তারা। কিন্তু লকডাউন শুরু হয়ে যাওয়ায় এই সমস্ত পরিবারগুলি যথেষ্ট বিপাকে পড়েছে। একদিকে চিকিৎসার খরচ, অন্যদিকে দিনের পর দিন লকডাউনে আটকে পড়ায় নিজেদের পুঁজিও প্রায় শেষের পথে। ফলে কিভাবে আগামীদিনগুলি চলবে তা নিয়ে যথেষ্ট চিন্তায় ছিলেন এই ৩২টি ক্যানসার আক্রান্ত শিশুদের পরিবারের সদস্যরা।
তাদের সেই সমস্যার কথা শুনে স্থানীয় একজন সমাজকর্মী বরাহনগরের পেটালস নামে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার সাথে যোগাযোগ করেন। ক্যানসার আক্রান্ত শিশু ও তাদের পরিবারের দুরাবস্থার কথা জানতে পেরেই পেটালসের সদস্যরা তাদের সাহায্যের জন্য এগিয়ে আসেন। আনন্দপুর থানা ও হরিদেবপুর থানার সহযোগিতায় এই সমস্ত মানুষজনদের হাতে চাল, ডাল, ডিম, আলু সহ বিভিন্ন ধরণের নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী ও শিশুদের জন্য হেলথ ড্রিঙ্কস, কেক, চকলেট, বিস্কুট নিয়ে হাজির হয়ে যান তারা। বিগত ৪০ দিন ধরে পেটালস বিভিন্ন ভাবে লকডাউনের মধ্যে আটকে থাকা দুঃস্থ মানুষদের পাশে দাঁড়িয়েছে, এবারও তার অন্যথা হয়নি। পেটালসের এই উদ্যোগে খুশি এই সমস্ত অসহায় মানুষজন।