আমাদের ভারত, ২১ আগস্ট: পুজোর আগে মধ্যবিত্ত ও নিম্ন মধ্যবিত্তদের মুখের হাসি চওড়া হতে চলেছে। জিএসটির হারে বিরাট পরিবর্তন আসছে। স্বাধীনতা দিবসের দিন মোদীর আশ্বাসবাণীর পর এই আশায় কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সভার সিলমোহর পড়ল। বিশেষজ্ঞদের মতে পুজো ও দীপাবলীর আগে প্রায় ৯০% জিনিসপত্রের দাম সস্তা হতে পারে।
বৈঠক খানা থেকে হেঁশেল ঘর পর্যন্ত সব জিনিসপত্রেই দাম কমবে বলে আশা করা যাচ্ছে। ফলে খুশির ফোয়ারা ছুটেছে আম আদমির মনে। জিএসটি হাড়ে ছাটাই নিয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীগোষ্ঠী বুধবার ১২ শতাংশ ও ২৮ শতাংশ স্তরের স্ল্যাবটি তুলে দেওয়ার অনুমোদন দিয়েছে। ফলে দাম কমবে বলে আশা করা হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার এই সংক্রান্ত অতি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে দীর্ঘ প্রতীক্ষিত জি এস টি স্ল্যাব নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয় মন্ত্রীগোষ্ঠীতে। অধিকাংশেরই মত ছিল জিএসটিতে একটি সর্বজনীন স্বস্তি দেওয়ার নীতি নেওয়া হোক।
বিশেষত মার্কিন শুল্ক চাপের ফলে ভারতের ঘাড়ে যে অতিরিক্ত বোঝা চাপতে চলেছে তার পরিপ্রেক্ষিতে জিএসটি ছাড় দিয়ে সাধারণ মানুষের ঘাড় থেকে মূল্য বৃদ্ধির চাপ কমাতে চাইছিল সরকার। তাই মন্ত্রীগোষ্ঠীর বৈঠকে কেন্দ্রের পরিকল্পনা অনুযায়ী জিএসটির চারটি স্ল্যাব’কে কমিয়ে দুটিতে অর্থাৎ ৫ ও ১৮ শতাংশকে রাখা হচ্ছে। বাকি দুটি স্ল্যাব অর্থাৎ ১২ ও ২৮ শতাংশ স্ল্যাব সরিয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা অনুমোদন পেয়েছে।
এই পদক্ষেপকে দ্বিতীয় প্রজন্মের জিএসটি জমানা নাম দেওয়া হয়েছে। এর ফলে কর ব্যবস্থায় আগের থেকে অনেক সহজ ও সুবিধাজনক পরিবেশ তৈরির সুযোগ পাবে।
সর্বোচ্চ হারে ৪০ শতাংশ জিএসটি বজায় থাকছে তামাক জাতীয় পণ্য ও বিলাস ভোগ্য পণ্যের ওপর। বিলাসবহুল গাড়িতে যে ৪০ শতাংশ জিএসটি ছিল তা বজায় রাখার সুপারিশ করেছে মন্ত্রীগোষ্ঠী। পরিকল্পনা অনুযায়ী ৯৯% পণ্য যেগুলিতে আগে ১২ শতাংশ জিএসটি ছিল সেগুলিকে পাঁচ শতাংশে নামিয়ে আনা হচ্ছে। এরকম ভাবে নব্বই শতাংশ পণ্য যেগুলি আগে ২৮ শতাংশ জিএসটির বন্ধনীতে ছিল সেগুলি আনা হবে ১৮% হারে।