ভুল ধারণা অভিষেকের! বিজেপি জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে চলে না, জনপ্রতিনিধিরা বিজেপির একটি অংশ: সুকান্ত মজুমদার

আমাদের ভারত, ৬ ডিসেম্বর: তৃণমূল দরজা খুললে বিজেপি দলটাই থাকবে না। তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এমনটাই দাবি করেছিলেন। এর পাল্টা দিতে গিয়ে সুকান্ত মজুমদার বলেন, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভুল ধারণা রয়েছে বিজেপি নিয়ে। সেই ধারণা তার পরিষ্কার করা দরকার। একই সঙ্গে তাঁর দাবি, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেকে ও সরকার বাঁচাতে এখন ব্যস্ত তাই পঞ্চায়েত নির্বাচন পিছিয়ে দিতে চাইছেন।

সুকান্ত মজুমদার দাবি করেছিলেন তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্য থেকে শুরু করে গ্রাম প্রধান অনেকেই এখন বিজেপিতে আসতে চাইছে। একই সঙ্গে বিজেপির তরফে বার বার ডিসেম্বর ধামাকার ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে। এই সব কিছুর প্রেক্ষিতে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, আমি যদি দরজা একটু খুলে দিই তাহলে বিজেপি দলটাই উঠে যাবে। অর্থাৎ তাঁর দাবি ছিল বিজেপির একাধিক জনপ্রতিনিধি তৃণমূলে যাওয়ার জন্য পা বাড়িয়ে আছে। অভিষেকের এই মন্তব্যের পাল্টা দিতে ছাড়েননি বিজেপি রাজ্য সভাপতি। তিনি বলেন, “অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় মিসকন্সেপশন নিয়ে আছেন। জেনে রাখবেন বিজেপি জনপ্রতিনিধি নিয়ে চলে না। জনপ্রতিনিধিরা বিজেপির একটি অংশ। কয়েকজন বিধায়ককে দলে জয়েন করিয়েও বিজেপিকে রোখা যায়নি।”

অন্যদিকে পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কটাক্ষ করে সুকান্ত বলেন, “নির্বাচনের জন্য এখনো পর্যন্ত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রস্তুত নন। তিনি এখন নিজেকে বাঁচানো আর সরকার বাঁচানোর লড়াইতে ব্যস্ত। তাই তাড়াতাড়ি নির্বাচন করতে চাইছে না তৃণমূল সরকার। তবে যখনই নির্বাচন হোক বিজেপি প্রস্তুত। নির্বাচন হলে বুঝতে পারবেন তৃণমূলের কি পরিস্থিতি।”

সুকান্ত মজুমদার বলেন, “ভোট করতে ভয় পাচ্ছে তৃণমূল সরকার, তবে যখনই ভোট করুক আমরা তৈরি আর ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত অপেক্ষা করুন বুঝতে পারবেন পরিস্থিতি।”

ঝালদা পৌরসভা নিয়েও কটাক্ষ করতে ছাড়েননি সুকান্ত। তিনি বলেন, কয়েকদিন পর কংগ্রেসই ঝালদা পুরসভা দখল করবে। তৃণমূল নির্লজ্জ। নাক কান কাটা এই সরকারকে জনগণ হারিয়ে দিয়েছে। কোর্টে হেরে যাচ্ছে তাও লজ্জা হচ্ছে না। আবার কোর্টে যাচ্ছে থাপ্পড় খাচ্ছে। আবার কোর্টে যাবে দু’গালে দুটো থাপ্পড় খাবে। পিসি ভাইপো দুটো করে থাপ্পড় খেয়ে ফিরে আসবে। তারপর ফের ঝালদা পৌরসভা কংগ্রেসই দখল করবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *