জল যন্ত্রণায় রাজপুর সোনারপুরের বিস্তীর্ণ এলাকার মানুষজন

আমাদের ভারত, দক্ষিণ ২৪ পরগণা, ২ সেপ্টেম্বর: ভোট আসে ভোট যায় কিন্তু বর্ষায় বদলায় না দক্ষিণ ২৪ পরগণার রাজপুর সোনারপুর পুরসভার বেশ কয়েকটি ওয়ার্ডের মানুষের দুর্দশার ছবি। প্রতিবছরই বর্ষায় রাজপুর সোনারপুর পুরসভার ১, ৪, ৩৪, ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের মানুষজনকে জমা জলে দুর্ভোগ পোহাতে হয়। সামান্য বৃষ্টি হলেই এই ওয়ার্ডগুলির বিস্তীর্ণ এলাকায় জল জমে যায়। এ বিষয়ে বারে বারে পুরসভাকে জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি বলে দাবি স্থানীয়দের। এই দুর্ভোগ থেকে তাঁরা কবে মুক্তি পাবেন সেটাও কোটি টাকার প্রশ্ন তাদের কাছে।

দক্ষিণ ২৪ পরগণার নরেন্দ্রপুর থানার বোড়াল এলাকার বিভিন্ন জায়গায় জল এসে জমা হয়। ফলে জমা জলের যন্ত্রণায় কার্যত নাজেহাল এলাকার সাধারণ মানুষ। গত কয়েকদিনের টানা বৃষ্টিতে সমস্যা আরও বেড়েছে। জমা জলে মশা মাছির উৎপাত একদিকে যেমন বেড়েছে তেমনি আবদ্ধ জলে বিভিন্ন জিনিষ পচতে শুরু করেছে ফলে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে এলাকায়। পাশাপাশি সাপ, ব্যাঙ সহ বিভিন্ন পোকামাকড়ের উৎপাত ও যথেষ্ট বেড়েছে। সব মিলিয়ে এলাকার মানুষের দুর্বিষহ অবস্থা। মূলত রাজপুর সোনারপুর পুরসভা ৩৪ নম্বর ওয়ার্ডের নতুনহাট, কুড়ের মাঠ, জনতা খোলা এলাকায় জল জমার কারণে সমস্ত কাজকর্ম অচল হয়ে পড়েছে। বাড়ছে রোগের প্রকোপ। অন্যদিকে ১ নম্বর ওয়ার্ডের বালিয়া, বোয়ালিয়া এলাকারও একই অবস্থা।

এলাকার বাসিন্দারা জানান, “বর্ষার সময় এক হাঁটু থেকে এক কোমর জল হয়ে থাকে এখানে, প্রশাসনকে একাধিকবার জানিয়েও কোনরকম সুরাহা হয়নি। এমনকি অসুস্থ রোগীদের জন্য অ্যাম্বুলেন্সও ঢুকতে পারে না এইসব এলাকায়।” ভোট চলে গেলে আর এলাকায় কোনও কাজ হয় না বলেই দাবি তাদের। প্রতিবার ভোট এলে এলাকার নিকাশি ঠিক করার আশ্বাস দেন রাজনৈতিক দলের নেতারা। কিন্তু ভোট মিটে গেলে সাধারণ মানুষের দুরাবস্থা যা তাই থেকে যায়। জমা জলে পানীয় জলের সমস্যা ও যথেষ্ট তৈরি হয়েছে। কিন্তু পুরসভার তরফ থেকে এই সমস্যা মেটানোর জন্য কোন উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে না বলেই অভিযোগ স্থানীয়দের।

এ বিষয়ে রাজপুর সোনারপুর পুরসভার প্রশাসক পল্লব দাস বলেন, “অনেক সমস্যাই মেটানো হয়েছে। এলাকা নিচু হওয়ার কারণে ও নিকাশি নালাগুলির উপর বেআইনি নির্মাণের কারণে বহু জায়গায় জল জমে যাচ্ছে। পুরসভার তরফ থেকে পাম্প লাগিয়ে জল বের করার চেষ্টা প্রতিবারই করা হয়ে থাকে, এবার ও করা হচ্ছে। তবে এই সমস্যা যাতে দ্রুত সমাধান করা যায় সে চেষ্টা করা হচ্ছে।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *