কুমারেশ রায়, আমাদের ভারত, মেদিনীপুর, ৯ নভেম্বর :
চন্দ্রকোনা ১ ব্লকের লক্ষ্মীপুরে চৌধুরী পরিবারের কালীপুজো হাজার বছরের পুরনো। এই জাগ্রত মায়ের মাহাত্ম্য ছড়িয়ে পড়েছে চারিদিকে। এই পুজোর ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপটে জানা যায় মা কালীর স্বপ্নাদেশ পেয়ে পুকুর থেকে কলস নিয়ে এসে মায়ের ঘট স্থাপন করে পূজো শুরু করে।তারপর ঐ পরিবারের বংশধর কল্যাণ চৌধুরী মায়ের স্বপ্নাদেশ পেয়ে কাশি থেকে মায়ের মূর্তি নিয়ে আসেন পায়ে হেঁটে।
তারপর হাজার বছরধরে মা পূজিত হয়ে আসছেন লক্ষীপুর গ্রামে। প্রতিদিন নিত্য পূজার পাশাপাশি প্রতি অমাবস্যাতে বিশেষ পূজা হয়। কালী পুজোর দিনে প্রচুর ভক্তের সমাগম হয়। প্রাচীন এই পুজো ঘিরে মানুষের উৎসাহ প্রচুর। নরনারায়ণ সেবা হয়। আর মা কে মুড়ি ভোগ দেওয়া হয়, আর কালি পুজোর দিন হিন্দু-মুসলিমের সব সম্প্রদায়ের মানুষের মিলনমেলা তৈরী হয়। মায়ের কাছে মানত করে ভক্তদের আশা পূর্ণ হয়। ২০১৮ সালে দেড়কোটি টাকা ব্যায়ে দক্ষিণেশ্বর মন্দিরের আদলে মন্দির তৈরী হয়।কল্যান চৌধুরীর বংশধর ও সেবায়েত বাপ্পাদিত্য চৌধুরী মন্দির তৈরীর জন্য অনেকটা টাকা দেন বাকী টাকা চৌধুরী পরিবারের বাকী বংশধরররা নতুন মন্দির নির্মানে দান করেন। চৌধুরী বংশধর শংকর চৌধুরী বলেন, গঙ্গার পশ্চিম পাড়ে এত বড় কালী মায়ের মন্দির নেই।
মায়ের মন্দিরের কাছেই আছে নাটমন্দির। নাটমন্দিরে সংগীতের মূর্ছনা মনকে অন্য জগতে নিয়ে যায়, মানসিক প্রশান্তি আনে।