আমাদের ভারত, হাওড়া, ২৪ মে: রবিবার সকালে উলুবেড়িয়া শহরের চিত্রটা দেখে অনেকেই চমকে উঠেছিল। পাশাপাশি করোনা সংক্রমণের কথা ভেবে আঁতকেও উঠেছিল অনেকে। আর হবে নাই বা কেন, এদিন সকাল থেকে যেভাবে ফুটপাত জুড়ে অস্থায়ী দোকান বসেছিল এবং তাতে ক্রেতাদের ভিড় উপচে পড়েছিল সেটা দেখে একবারের জন্যও মনে হয়নি করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে রাজ্যে লকডাউন চলছে।
লকডাউনের জেরে দীর্ঘদিন দোকানপাট বন্ধ থাকার পর সাধারণ মানুষের অসুবিধা দূর করতে কিছু নিয়ম কানুন জারি করে লকডাউন সামান্য শিথিল করা হয়। আর তাতেই আনন্দে মেতে ওঠে একশ্রেণির মানুষ।
গত দুই মাসের চিত্র এক লহমায় বদলে গেল। সরকারের নির্দেশকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে মুখে মাস্ক না পড়ে রাস্তায় ঘুরে বেড়ানো থেকে সামাজিক দূরত্ব বজায় না রেখে দৈনন্দিন কাজকর্ম সবটাই চলল অবাধে। অবশ্য শুধু সাধারণ মানুষের রাস্তায় বের হওয়া নয় পাশাপাশি রাস্তায় নামল অটো টোটো থেকে বিভিন্ন ধরনের ছোট যানবাহন। আর এক্ষেত্রে পুলিশের চোখকে ফাঁকি দেওয়ার জন্য গাড়িতে সাঁটা হল বিভিন্ন ধরনের স্টিকার।

রাজ্যের আর পাঁচটা জায়গার মত উলুবেড়িয়া শহরেও গত কয়েকদিন আগে থেকে চিত্রটা একদম বদলে গেছে। রাস্তায় লোকজনের ভিড়ের পাশাপাশি অবাধে যানবাহন চলাচল করেছে এমনকি ইদের আগে শনিবার এবং রবিবার যেভাবে রাস্তায় মানুষের ঢল নেমেছে তাতে আতঙ্কিত সাধারণ মানুষ। তাদের মতে শনিবার এবং রবিবার যেভাবে শহরের মূল রাস্তার দুই পাশের ফুটপাত দখল করে দোকান বসেছে এবং তাতে ক্রেতারা ভিড় করেছে তাতে করোনা সংক্রমণ অনিবার্য। অধিকাংশ মানুষের মতে বিশেষ করে রবিবার সকাল থেকে মুখে মাস্ক না পরে সামাজিক দূরত্ব বজায় না রেখে একশ্রেণির মানুষ দোকানে এটিএম কাউন্টারে ভিড় করেছে তাতে সাধারণ মানুষ যথেষ্ট আতঙ্কিত। তাদের মতে অকারণে মানুষের এইভাবে রাস্তায় ঘুরে বেড়ানো এবং সামাজিক দূরত্ব বজায় না রেখে ভিড় করার প্রবণতা আটকানো না যায় তাহলে করোনা সংক্রমণ ঠেকানো মুশকিল হয়ে উঠবে।
এদিকে রবিবার সকাল থেকে উলুবেড়িয়া শহরে ক্রমশ ভিড় বাড়তে থাকায় শেষে বাধ্য হয়ে রাস্তায় নেমে পুলিশকে মাইকিং করে মানুষকে সাবধান করতে হয়। যদিও এই প্রয়াসটাও ছিল সাময়িক কারণ, পুলিশ চলে যাওয়ার পরেই মানুষ যথারীতি তাদের নিজেদের ছন্দে ফেরে।
যদিও পুলিশ প্রশাসনের বক্তব্য শুধু প্রশাসনের উদ্যোগে করোনা সংক্রমণ রোধ করা সম্ভব নয়। সাধারণ মানুষ যদি এই ব্যাপারে সচেতন না হয় তাহলে সরকারের এ ই প্রচেষ্টা বিফলে যাবে।


