বন সহায়ক নিয়োগে পশুপ্রেমীদের অগ্রাধিকার দেওয়ার আবেদন পিপলস ফর অ্যানিমেলস এর

স্বরূপ দত্ত, উত্তর দিনাজপুর, ১৪ আগস্ট: রাজ্য সরকারের বন সহায়ক নিয়োগে অগ্রাধিকারের আবেদন পশুপ্রেমী সংগঠন পিপলস ফর অ্যানিমেলস এর। আহত ও অসুস্থ পথের পশু থেকে বন্য জীবজন্তুদের সেবা সুশ্রুষা করে বন বিভাগের পাশে দাঁড়িয়ে সহায়তা করাই এদের একমাত্র লক্ষ্য। উদ্দেশ্য, পশুপ্রেম থেকে পরিবেশে ভারসাম্য রক্ষায় সর্বস্তরের প্রাণীকূলকে বাঁচিয়ে রাখা এবং অবলা জীবের সেবা এবং মানুষের মধ্যে পশুপ্রেম জাগিয়ে তোলা। যে কাজ রাজ্যের বন বিভাগের কর্মীদের সেই কাজে একেবারে বিনা পারিশ্রমিকে তাদের সহায়তা করা। এরা হলেন উত্তর দিনাজপুর পিপলস ফর অ্যানিমেলস এর কয়েকশো যুবক। বিনিময়ে এই যুবকরা সরকারের বনবিভাগের কাজে সহায়তা করার জন্য বন সহায়ক কর্মী পদে নিয়োগের ক্ষেত্রে অগ্রাধিকারের দাবি দাবি জানিয়েছেন।

এতদিন ধরে বিনা পারিশ্রমিকে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পশুকূলের সেবা করে আসছেন, এবার রাজ্য সরকার সব জেলাতেই যে বন সহায়ক নিয়োগ করতে চলেছে, সেই নিয়োগের ক্ষেত্রে পিপলস ফর অ্যানিমেলস যুবকদের যাতে অগ্রাধিকার দেওয়া হয় সেই দাবি রেখেছেন উত্তর দিনাজপুর পিপলস ফর অ্যানিমেলস এর সাধারন সম্পাদক গৌতম তান্তিয়া। তাঁর দাবি এইসব অভিজ্ঞতা সম্পন্ন যুবকদের বন সহায়ক হিসেবে নিয়োগ করলে বন বিভাগেরই কাজের ক্ষেত্রে অনেক সুবিধা হবে।

রাস্তাঘাটে বা লোকালয়ে পথ কুকুর থেকে গবাদি পশু দুর্ঘটনায় আহত হোক কিংবা অসুস্থ হয়ে পড়ে থাকুক, খবর পাওয়ার সাথে সাথে ছুটে আসেন রায়গঞ্জের পশুপ্রেমী সংগঠন উত্তর দিনাজপুর পিপলস ফর অ্যানিমেলস এর সদস্যরা। চিকিৎসা ও সেবা সুশ্রুষা করে রোগ নিরাময় করে সুস্থ করে তোলার পাশাপাশি তাদের ফিরিয়ে দেওয়া হয় সুস্থ পরিবেশে। শুধু অসুস্থ বা আহত পশুই নয়, শহর বা গ্রাম যেখানেই কারও বাড়িতে ঢুকে পড়ে বিষাক্ত সাপ বা অন্য কোনও ভয়ঙ্কর কোনও প্রাণী তৎক্ষনাৎ ছুটে গিয়ে সাপ উদ্ধার করে আতঙ্কিত মানুষকে মুক্তি দেওয়ার পাশাপাশি উদ্ধার হওয়া প্রাণীকে তুলে দেন বন বিভাগের হাতে।

১৯৯৮ সাল থেকে ২২ বছর ধরে লাগাতার প্রতিদিন প্রতিনিয়ত পশুর সেবায় নিয়োজিত থাকেন উত্তর দিনাজপুর পিপলস ফর অ্যানিমেলস এর জেলায় থাকা তিন শতাধিক যুবক। এই সেবামূলক কাজই তাঁরা ধরে রাখতে চান আর সেজন্যই রাজ্য সরকারের কাছে তাদের আবেদন সাম্প্রতিক সময়ে বন বিভাগ জেলায় জেলায় যে বন সহায়ক পদে কর্মী নিয়োগ করতে চলেছে সেখানে পিপলস ফর অ্যানিমেলস এর সদস্যদের অগ্রাধিকার দেওয়া হোক। তাতে তাদের পশুদের প্রতি সেবামূলক কাজ যেমন বজায় থাকবে তেমনি এই সব কর্মীদের অন্নের সংস্থানও হবে। অভিজ্ঞতাসম্পন্ন এইসব কর্মীদের নিয়োগে কাজের ক্ষেত্রে সুবিধা হবে বন দপ্তরের এটা বলাই বাহুল্য।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *