কুমারেশ রায়, আমাদের ভারত, মেদিনীপুর, ২৩ ডিসেম্বর: একদিকে সারা দেশে আগুন জ্বলছে। আর বিজেপি অভিনন্দন যাত্রা করছে। এই যাত্রাকে বিজেপির
‘শোকযাত্রা ‘ বলে কটাক্ষ করলেন রাজ্যের পরিবহণ মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী। এনআরসি আর ক্যাবের বিরুদ্ধে রাজ্যের সমস্ত মহকুমায় তৃণমূলের প্রতিবাদ মিছিল ও সভা হয় সোমবার। ঘাটাল মহকুমায় এদিন শুভেন্দু অধিকারীর নেতৃত্বে বিশাল মিছিল হয়।
এদিনের মিছিল থেকে ঝাড়খণ্ডের ঘটনা তুলে ধরে বার্তা দিয়ে তিনি বলেন, ‘গণতন্ত্রে মানুষই শেষ কথা বলেন। যাঁরা মানুষকে দেওয়া প্রতিশ্রুতি রক্ষা করেন না, মানুষ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়, যারা ক্ষমতার দম্ভে মানুষের ওপর সবকিছু চাপিয়ে দেন তাঁদের এই অবস্থাই হয়।’
পশ্চিমবঙ্গে ক্ষমতার দম্ভ দেখাতে গিয়ে সিপিমের কি হাল হয়েছিল তা উল্লেখ করে তিনি বলেন, আগে সিপিএম বলতো আমরা ২৩৫ আর ওরা ৩৫। মানুষ ওদের এমন যোগ্য জবাব দিয়েছেন যে রাজনীতিতে সিপিএমের অবস্থানই খুঁজে পাওয়া যায় না। তাঁর কথায়,
‘বিজেপিরও অবস্থা একই হবে। ৪০০ এমপির দম্ভ থাকবে না। ৪০ এর নিচে নেমে যাবে।’
রাজ্যে রাজ্যে বিজেপির ভরাডুবির জন্য নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিষের মূল্যবৃদ্ধি, মানুষকে দেওয়া প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ, বিভাজনের রাজনীতি চাপিয়ে দেওয়াকে দায়ী করে শুভেন্দু জানান, মানুষ সব কিছু ভোটে জবাব দিয়েছেন। বাংলায় যে কোনোদিনই এনআরসি, ক্যাব চালু হচ্ছে না তা আরও একবার জানিয়ে রাজ্যে মন্ত্রিসভার সদস্য জানান, মুখ্যমন্ত্রী যে আওয়াজ তুলেছেন তা এখন অন্যান্য রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীরাও করেছেন। তাই এই বিল প্রত্যাহার করতেই হবে। এর পাশাপাশি রাজ্যের মানুষকে মুখ্যমন্ত্রীর পাশে থেকে গণতান্ত্রিক ও শান্তিপূর্ণ ভাবে আন্দোলনে সামিল হওয়ার আবেদন জানান তিনি।
এদিনের মিছিলে ছিলেন ঘাটালের তৃণমূল বিধায়ক শঙ্কর দোলই, চন্দ্রকোনার বিধায়ক ছায়া দোলই, দাসপুরের বিধায়ক মমতা ভুইঁঞা, তৃণমূল নেতা দিলীপ মাঝি, অরুণ মন্ডল, শ্যাম পাত্র, অজিত দে, সুজয় পাত্র, সুকুমার পাত্র, গৌতম ভট্টাচার্য, কৌশিক কুলভী, হীরালাল ঘোষ, সুকুমার পাত্র, অরুপ ধাড়া প্রমুখ।