জঙ্গলমহলে শান্তি প্রতিষ্ঠিত হয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ধরে ঝাড়গ্রামের রবীন্দ্রপার্কে বললেন দোলা সেন

অমরজিৎ দে, ঝাড়গ্রাম, ৮ নভেম্বর: শান্তি প্রতিষ্ঠিত হয়েছে জঙ্গলমহলে। রক্তাক্ত ইতিহাসের যবনিকা হয়েছে। সেই অশান্তির বাতাবরণ আজ মুছে গিয়ে মানুষ শান্তিতে ঘরে আছেন। সেটা শুধুমাত্র সম্ভব হয়েছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্য। রবিবার ঝাড়গ্রামে এসে এমনই মন্তব্য করলেন রাজ্যের শ্রমিক নেতা দোলা সেন।

রবিবার ঝাড়্গ্রামের রবীন্দ্রপার্কে তৃণমুল পরিচালিত শ্রমিক সংগঠনের এক সভায় যোগ দিতে এসেছিলেন রাজ্যের আইএনটিটিইউসির সভাপতি তথা রাজ্যসভার সাংসদ দোলা সেন। তিনি বলেন, আগে অবিভক্ত পশ্চিম মেদিনীপুরে জেলায় সিপিএমের দোর্দণ্ডপ্রতাপ ছিল। ২০১১ সালের আগে খবরের কাগজ খুললেই কোথাও না কোথাও মানুষের মৃত্যুর দেখতে হতো। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সেই জঙ্গলমহলের ঝাড়গ্রাম, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, পশ্চিম মেদিনীপুরে শান্তি প্রতিষ্ঠা করেছেন। আজ আর ভোরবেলা কোনও মানুষের মৃত্যুর খবর দেখতে হয় না। তিনি বলেন, শান্তি প্রতিষ্ঠায় পশ্চিমবঙ্গ এক নম্বরে রয়েছে। জ্যোতিবাবু যখন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন তখন তিনি বলেছিলেন বাংলায় পরিবর্তন হলে রক্তগঙ্গা বইবে। কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ২০১১ সালে স্লোগান দিয়েছিলেন বদলা নয় বদল চাই। তাই বাংলার মানুষ বদলার বদলে বদল করেছেন। যদি তৃণমূল কংগ্রেস বদলা চাইতো তাহলে অত্যাচারী সিপিএম নেতাদের পিঠের চামড়া থাকবে না। যারা এখন বড় বড় কথা বলছেন, তাদের কথা বলার অধিকার থাকতো না। তৃণমূল কংগ্রেস শান্তি উন্নয়ন চায়। তাই বাংলায় দলতন্ত্রের বদলে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।

বিজেপি নেতাদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, বিজেপি পরিচালিত উত্তরপ্রদেশ, গুজরাট, অসম রয়েছে, কংগ্রেস পরিচালিত রাজস্থান রয়েছে, সিপিএম পরিচালিত কেরালা রয়েছে। করোনা মহামারীতে এই রাজ্যগুলিতে কেউ
বিনামূল্যে মানুষকে রেশন দেয়নি। গত এপ্রিল মাস থেকে করোনা মহামারীতে পশ্চিমবঙ্গ সরকার রাজ্যের ৯ কোটি মানুষকে বিনা পয়সায় রেশনের মাধ্যমে ৫ কেজি খাদ্যশস্য দিচ্ছেন। কিন্তু বিজেপি নেতারা বলছেন যে তাদের টাকায় নাকি মমতা ব্যানার্জি বিনা পয়সায় রেশন দিচ্ছেন । যদি তাদের ক্ষমতা থাকতো তাহলে কেন উত্তর প্রদেশ গুজরাট এবং অসমে দেয়নি। ২৫ বছর ধরে গুজরাটে সরকার চালাচ্ছে বিজেপি আর পশ্চিমবঙ্গ তৃণমূল কংগ্রেসের সরকার মাত্র সাড়ে নয় বছর। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৬৩টি প্রকল্প রাজ্যে চালু করেছে । সিপিএমের আমলে বেলপাহাড়ীর আমলাশোলে অনাহার সৃষ্টি হয়েছিল। মানুষ না খেতে পেয়ে অনাহারে মারা গিয়েছিল তখন কোথায় ছিলেন মোদি বাবুরা।
পিঁপড়ের ডিম খেয়ে বেঁচে ছিলেন আদিবাসীরা তখন কোথায় ছিলেন অমিত শাহ বাবুরা।ক্ষমতায় আসার পর জঙ্গলমহলের মানুষকে তিনি দু টাকা কেজি দরে চাল দিয়েছিলেন। তিনি ক্ষমতায় আসার পর পিছিয়ে পড়া জঙ্গলমহল, পাহাড়ে শান্তি প্রতিষ্ঠা করেছেন। মাওবাদীদের সমাজের মূল স্রোতে ফিরে আসার আবেদন করেছেন। তাই বহু মাওবাদী অস্ত্র ছেড়ে সমাজের মূল স্রোতে ফিরে এসেছেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যতদিন ক্ষমতায় থাকবেন বাংলার মানুষকে বিনা পয়সায় রেশন এর মাধ্যমে খাদ্যশস্য দিয়ে যাবেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *