আমাদের ভারত, বাসন্তী, ৮ নভেম্বর:
২০১৬ সাল থেকে তৃণমূলের গোষ্ঠী সংঘর্ষে দিনের পর দিন উত্তপ্ত হয়েছে দক্ষিন ২৪ পরগনার বাসন্তী। দীর্ঘ চার বছরের বেশি সময় ধরে এলাকায় বারে বারে বোমাবাজি, বাড়িতে আগুন লাগানোর ঘটনা ঘটেছে। একাধিক প্রানহানির ঘটনাও ঘটেছে যুব তৃণমূল ও তৃণমূলের মধ্যে বিবাদের জেরে। কিন্তু সম্প্রতি নিজেদের মধ্যে দন্ধ ভুলিয়ে এক হয়েছে বাসন্তীর তৃণমূলের দুই গোষ্ঠী। আর এটা সম্ভব হয়েছে সন্দেশখালির তৃণমূল নেতা সাজাহান সেখ ও গোসাবার বিধায়ক জয়ন্ত নস্করের উদ্যোগে। এই দুই তৃণমূল নেতৃত্ব উদ্যোগী হয়ে যুযুধান দুই পক্ষকে একসঙ্গে বসিয়ে সমস্যার সমাধান করেছেন। ফলে শান্তি ফিরেছে বাসন্তীতে। সেই কারনে বাসন্তীতে শান্তি ফেরানোর দুই কান্ডারি এই দুই তৃণমূল নেতাকে সম্বর্ধনা দিলেন বাসন্তীর কবি ও সমাজসেবী ফারুক আহমেদ সর্দার।
ফারুক বলেন, “দিনের পর দিন বাসন্তী অশান্ত। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ও তাঁর দলের এই দুই গোষ্ঠীর অশান্তির জেরে যথেষ্ট ক্ষুব্ধ ছিলেন। অবশেষে সেই সমস্যার সমাধান সম্ভব হয়েছে এই দুই তৃণমূল নেতৃত্বের হস্তক্ষেপে।”
তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে এই বিবাদের জেরে মাসখানেক আগেও বোমাবাজি, মারামারির ঘটনা ছিল এখানকার রোজনামচা। বিশেষ করে বাসন্তীর ফুলমালঞ্চ, কাঁঠালবেরিয়া, আমঝারা, চরাবিদ্যা গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকাগুলি যথেষ্ট সমস্যায় ছিল। এলাকার সাধারন মানুষ এই রাজনৈতিক গণ্ডগোলের মধ্যে পড়ে কার্যত অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছিলেন। অবশেষে বাসন্তীতে শান্তি ফেরায় খুশি সকলেই। খুশি প্রশাসনের কর্তারাও।