আমাদের ভারত, পূর্ব মেদিনীপুর, ১১ আগস্ট: করোনা পজিটিভ সার্টিফিকেট হাতে নিয়ে তমলুক জেলা হাসপাতাল চত্বরে ঘুরে বেড়াল এক রোগী। একসময় ইমারজেন্সিতেও ঢুকে পড়ে রোগীটি। কিন্তু কোনও ব্যবস্থাই নেয়নি জেলা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করার পর সংবাদমাধ্যমের মাধ্যমে জেলাশাসকের কাছে খবর যায়। জেলাশাসকের হস্তক্ষেপে অবশেষে স্বাস্থ্য দপ্তরের উদ্যোগে তাকে চিকিৎসার জন্য ময়নার সেফহোমে তাকে পাঠানো হয়েছে।
এই করোনা পজিটিভ রোগীর অবশ্য কোনও উপসর্গ নেই। পায়ের সমস্যা নিয়ে হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য আসতেই তার করোনার পরীক্ষা করা হয়। আজ পরীক্ষার রিপোর্ট এলে তাতে পজিটিভ আসে। পরিবার সূত্রে জানা যায়, করোনা আক্রান্ত মহিলার বাবা করোনায় আক্রান্ত হয়ে বেশ কিছুদিন আগে মারা যান। তারপরে কিন্তু পরিবারের বাকিদের মধ্যে কোনও উপসর্গ না থাকায় কোনও পরীক্ষা করা হয়নি। গতকাল করোনা আক্রান্ত এই মহিলার পরীক্ষা করা হয়।

জেলা হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য আসা অন্য রোগীদের পরিবারের লোকেদের প্রশ্ন, পরীক্ষার রিপোর্ট পজিটিভ আসা সত্ত্বেও কি ভাবে রোগীর বাড়ির লোকের হাতে এই রিপোর্ট দেওয়া হল কোনও ব্যবস্থা নেওয়া ছাড়াই। রিপোর্ট পজিটিভ থাকা এই রোগীর বাড়ির লোকেরা তাকে কোথায় নিয়ে যাবে না বুঝতে পেরে আজ তমলুক জেলা হাসপাতালে নিয়ে আসে। কিন্তু এখানে এসেও কি করবে সেটা বুঝে উঠতে পারেনি আক্রান্তের পরিবারের লোকেরা। ইতিমধ্যে সংবাদমাধ্যমের কর্মীদের ঘটনাটি নজরে আসে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ কোনও ব্যবস্থা না নেওয়ায় ঘটনার কথা সরাসরি জেলাশাসককে জানানো হয়। পরে জেলা শাসকের হস্তক্ষেপে স্বাস্থ্য দপ্তরের মাধ্যমে ওই আক্রান্ত মহিলাকে ময়নার সেফহোমে পাঠানো হয়েছে। দীর্ঘক্ষণ তমলুক জেলা সদর হাসপাতালে করোনা পজিটিভ রোগী ঘুরে বেড়ানোয় সংক্রমণের আশঙ্কায় আতঙ্কিত অন্যান্য রোগীর বাড়ির লোকেরা।

