স্বরূপ দত্ত, আমাদের ভারত, উত্তর দিনাজপুর, ২৩ মে:
লকডাউন চলাকালীন ফাঁকা রাস্তায় এক প্যাথোলজি কর্মীকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে খুন করে নয়ানজুলিতে ফেলে দিয়ে পালিয়ে গেল দুষ্কৃতীরা। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। ঘটনাটি ঘটেছে রবিবার বিকেল ৫টা নাগাদ উত্তর দিনাজপুর জেলার রায়গঞ্জ থানার চাপদুয়ার মধুপুর এলাকায়। ঘটনাস্থলে যায় রায়গঞ্জ থানার আইসি সুরজ থাপার নেতৃত্বে বিশাল পুলিশ বাহিনী। মৃত যুবকের নাম রব্বানি আলি (৩৪)। পুলিশ ঘটনাস্থলে প্রচুর রক্তপাতের চিহ্ন দেখতে পাওয়ার পাশাপাশি মৃত যুবক রব্বানি আলির মোটরবাইক উদ্ধার করে। মৃতের পরিবার থেকে স্থানীয় বাসিন্দারা দুষ্কৃতীদের গ্রেপ্তার ও শাস্তির দাবি তুলেছেন। মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য রায়গঞ্জ গভর্মেন্ট মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ মর্গে পাঠানোর পাশাপাশি ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে রায়গঞ্জ থানার পুলিশ। খুনের ঘটনার তদন্তে নামানো হয়েছে পুলিশ কুকুরও।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, রায়গঞ্জ থানার বাহিন গ্রামপঞ্চায়েতের বাদুদেবপুর গ্রামের বাসিন্দা পেশায় প্যাথোলজিকাল ল্যাবরেটরির রক্ত সংগ্রাহক রব্বানি আলি প্রতিদিনের মতো আজও কাজের উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে বের হন। বিকেল ৫ টা নাগাদ চাপদুয়ার মধুপুর এলাকায় নির্মীয়মান ফোরলেন রাস্তার ধারে নয়নজুলিতে একটি মৃতদেহ দেখতে পান স্থানীয় বাসিন্দারা। আর রাস্তার উপরেই একটি মোটরবাইক পড়ে থাকতে দেখেন। এরপর স্থানীয় বাসিন্দারা খবর দেন রায়গঞ্জ থানার পুলিশকে। এদিকে খবর জানাজানি হতেই আশপাশের গ্রাম থেকেও প্রচুর মানুষ ছুটে আসে। আসেন রব্বানি আলির আত্মীয় পরিজনেরাও। পুলিশ নয়ানজুলির জল থেকে মৃতদেহ তুলতেই রব্বানি আলিকে সনাক্ত করে তাঁর পরিবারের লোকেরা। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে খুন করে নয়ানজুলির জলে ফেলে দেওয়া হয়েছিল প্যাথোলজিকাল ল্যাবরেটরির কর্মী রব্বানিকে। ঘটনাস্থলের কাছে রাস্তার ধারে প্রচুর রক্তের দাগ উদ্ধার করে পুলিশ। পাশে থাকা মৃতের মোটরবাইকও উদ্ধার করে পুলিশ। খুনের ঘটনার কিনারা করতে ঘটনাস্থলে নিয়ে আসা হয় পুলিশ কুকুর। কে বা কারা রব্বানিকে খুন করল তার তদন্ত শুরু করেছে রায়গঞ্জ থানার পুলিশ। যদিও এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার বা আটক করা যায়নি।