রাজেন রায়, কলকাতা, ৩১ অক্টোবর: করোনা মহামারী পরিস্থিতিতে কিভাবে সংক্রমণ এড়িয়ে সারা দেশে ট্রেন চলাচল শুরু করা সম্ভব, তা এখনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি রেল মন্ত্রক। আর ৮ মাস ধরে ট্রেন বন্ধ থাকার কারণে ধীরে ধীরে ধৈর্য্যের বাঁধ ভাঙছে যাত্রীদের। এর আগেও বিভিন্ন স্টেশনে পুজোর আগে যাত্রীরা বিক্ষোভ দেখিয়েছেন। এবার ফের রণক্ষেত্রের চেহারা নিল খোদ হাওড়া স্টেশন চত্বর।
শনিবার সন্ধ্যায় স্টাফ স্পেশাল ট্রেনে উঠতে চেয়ে হাওড়া স্টেশনে যাত্রী বিক্ষোভ ঘিরে উত্তেজনা ছড়ায়। স্টেশনে ঢোকার মুখেই আটকে দেওয়া হয় যাত্রীদের। বন্ধ করে দেওয়া হয় স্টেশনে ঢোকার গেট। ব্যারিকেড করে যাত্রীদের আটকানোর চেষ্টা করে রেল পুলিশও। এরপরই পুলিশের ব্যারিকেড টপকে জোর করে স্টেশনে ঢুকতে গেলে জিআরপি ও আরপিএফ কর্মীদের সঙ্গে বচসা ও ধাক্কাধাক্কি শুরু হয় যাত্রীদের। পরিস্থিতি সামলাতে লাঠিচার্জ পর্যন্ত করতে হয় পুলিশকে।
রেল পুলিশের তরফে দেওয়া এক আধিকারিক জানিয়েছেন, তাঁদের কাছে স্পষ্ট নির্দেশ রয়েছে যে স্টাফ ট্রেনে কাউকে উঠতে দেওয়া যাবে না। অন্যদিকে বিক্ষোভকারীদের দাবি, স্পেশাল ট্রেন যাত্রীদের জন্য চালানো হোক। রেল কর্তৃপক্ষের দাবি স্টাফ স্পেশাল ট্রেন শুধুমাত্র রেলকর্মীদের জন্যই চালানো হচ্ছে। সেখানে সাধারণ যাত্রীদের ওঠার অনুমতি নেই। এভাবে সাধারণ যাত্রীদের প্রচুর সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। অবিলম্বে সাধারণ যাত্রীদের জন্য ট্রেন চালু করুক রেল কর্তৃপক্ষ।