আমাদের ভারত, ৮ জানুয়ারি: শুক্রবার থেকে আবার চালু হয়ে গেল ব্রিটেনের উড়ান। কিন্তু করোনার নয় স্ট্রেনের সংক্রমণ আটকাতে কড়া নির্দেশিকা জারি করেছে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী জানিয়ে দিয়েছেন ব্রিটেন থেকে কেউ দিল্লিতে এলে তাকে ১৪ দিন কোয়ারেন্টাইনে থাকতেই হবে। কোয়ারেন্টাইন নিয়ে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন কেউ চাইলে পেইড কোয়ারেন্টাইনে থাকতে পারেন আবার বিনা খরচে সরকারি কোয়ারেন্টাইনেও থাকতে পারেন।
ব্রিটেন থেকে কেউ দিল্লিতে এলে তার আরটিপিসিইর টেস্ট করানো বাধ্যতামূলক। এই টেস্টে যদি কেউ পজিটিভ হয় তাকে ১৪ দিন বাধ্যতামূলক সরকারি কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে। অন্যদিকে কারোর যদি টেস্ট রিপোর্ট নেগেটিভ আসে তাহলেও তাকে সাতদিন সরকারি কোয়ারেন্টাইনে ও পরের সাতদিন হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে।
এপর্যন্ত ব্রিটেনের এই নয়া করোনার স্ট্রেনে আক্রান্তের সংখ্যা ৮৩। বুধবার ২৪৬ জন যাত্রী নিয়ে একটি বিমান ব্রিটেন থেকে দিল্লিতে এসে পৌঁছেছে। এর আগে নয়া স্ট্রেন ছড়িয়ে পড়া আটকাতে ঘটনায় ২৩ ডিসেম্বর থেকে ৭ জানুয়ারি পর্যন্ত ব্রিটেনের উড়ানে নিষেধাজ্ঞা করেছিল কেন্দ্র। আবার তা চালু হওয়ার আশঙ্কা প্রকাশ করেছে দিল্লি সরকার।
কেজরিওয়াল সরকারের যুক্তি, করোনার এই নতুন স্ট্রেন আবারও ব্রিটেনের পরিস্থিতি কঠিন করে তুলেছে। তাহলে কেন ভারতে করোনার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসার পরেও ঝুঁকি নেওয়া হচ্ছে। ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত ব্রিটেনের উড়ান বন্ধ রাখার আর্জি জানিয়েছিলেন তিনি।
কেন্দ্রের তরফে ব্রিটেনের ফেরত যাত্রীদের জন্য যে নতুন প্রটোকল ঘোষণা করা হয়েছে,তাতে বলা হয়েছে যাত্রীদের দেশে ফেরার পর বিমানবন্দরে নিজেদের খরচে নমুনা পরীক্ষা করাতে হবে। বিমানে ওঠার ৭২ ঘন্টা আগে নেওয়া কোভিড নেগেটিভ রিপোর্ট দেখাতে হবে। তারপর ১৪ দিনের কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে । তাদের এই কোয়ারেন্টাইনের বিষয়টি প্রতিটি রাজ্য দেখবে। এই ঘোষণার পরই দিল্লি সরকার জানিয়েছে ব্রিটেন ফেরত যাত্রীদের সরকারি কোরেন্টাইন সেন্টারের সাতদিন থাকতেই হবে। একই সিদ্ধান্ত নিয়েছে মহারাষ্ট্র সরকারও।

