সোমনাথ বরাট, আমাদের ভারত, বাঁকুড়া, ১৭ জুন: সম্মানিক বন্ধের হুঁশিয়ারির পর ফের অকপট অনুসূয়া।দলীয় জনপ্রতিনিধিদের প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে তিনি বলেন, জনপ্রতিনিধি হয়ে যাওয়ার পর তাদের পাত্তা পাওয়া যাচ্ছে না। জনসাধারনের পাশে থাকেন না। এলাকার কাজ করেন না। জনসাধারণের অভাব অভিযোগের কথাও শোনেন না। এভাবেই দলীয় জনপ্রতিনিধিদের প্রকাশ্যে মূল্যায়ন করতে গিয়ে অকপট শাসক দল তৃণমূলের দাপুটে নেত্রী তথা বাঁকুড়া জেলা পরিষদের সভাধিপতি অনুসূয়া রায়।
তিনি এ-ও বলেন যে, সামনে ২০২৬ বিধানসভা নির্বাচন। জনগণের কাছে যেতে হবে। তাদের কাছে জবাব দিতে হবে। তাই তিনি কোনো ভুল কথা বলেননি। সোমবার বিকেল ৫টা নাগাদ এই বিস্ফোরক মন্তব্য করেন। তিনি স্পষ্টই বুঝিয়ে দেন এটাই সত্য। জনপ্রতিনিধিরা কাজ করছেন না, আর তার মত যারা চেয়ারে রয়েছেন তারা কাজ করে চলেছেন। তিনি বলেন যে, দলের টিকিটে জিতে জনপ্রতিনিধি হয়েছেন তারা। তাই দলীয় কর্মসূচিতে তাদের আসা দরকার। জনপ্রতিনিধি হলে কাজ করতে হবে সে কথাটা মনে করিয়ে দেওয়া উচিত।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি বাঁকুড়ার শালতোড়ায় দলের কর্মিসভায় বাঁকুড়া জেলা পরিষদের সভাধিপতি অনুসূয়া রায় হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, দলীয় কর্মসূচিতে পরপর অনুপস্থিত থাকলে এবার জনপ্রতিনিধিদের সাম্মানিক বন্ধ করে দেওয়া হবে। এই হুঁশিয়ারি নিয়ে জোর চর্চা শুরু হয়। সেই হুঁশিয়ারির সাফাই দিতে গিয়ে ফের সোমবার তিনি এই বিস্ফোরক উক্তি করেন।
উল্লেখ্য, তৃণমূলের বাঁকুড়া সাংগঠনিক জেলার সভাপতি তারাশঙ্করবাবুর স্ত্রী হলেন জেলা পরিষদের সভাধিপতি অনুসূয়া রায়। তিনি নিজের কথার সমর্থনে বলেন যে, পঞ্চায়েতের পরপর তিনটি বৈঠকে জনপ্রতিনিধিরা গরহাজির থাকলে পঞ্চায়েত সদস্যদের সাম্মানিক বন্ধ হয়ে যায়। তবে শালতোড়ার মন্তব্যের পর তিনি সমালোচনার মুখে পড়েছিলেন। জেলার রাজনৈতিক দলগুলি সভাধিপতির মন্তব্যের তীব্র সমালোচনা করেন। তাদের বক্তব্য, পঞ্চায়েতের তিন স্তরের জনপ্রতিনিধিরা নির্দিষ্ট হারে সরকারি সাম্মানিক পান। দলীয় কর্মসূচিতে গরহাজির থাকলে সেই সাম্মানিক বন্ধ করার কোনও এক্তিয়ার কোনো রাজনৈতিক দলের নেই। এটা এক প্রকার থ্রেট কালচার। এটা তৃণমূলের কালচার। এটা অগণতান্ত্রিক ও অসংবিধানিক।