আমাদের ভারত,২০ জানুয়ারি: ব্যর্থতাই সাফল্যের উত্তরণের পথ। ব্যর্থতা থেকে আসে সাফল্য। ব্যর্থ হলে বুঝতে হবে সেরাটা আসা এখনো বাকি আছে। বোর্ড পরীক্ষার আগে এভাবেই ছাত্রছাত্রীদের উদ্বুদ্ধ করলেন দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। পরীক্ষা পে চর্চা অনুষ্ঠানে খোলা মনে ছাত্র-ছাত্রীদের প্রশ্নের জবাব দিলেন তিনি।
ছাত্রদের মোদী বলেন, মোটিভেশন ও ডি মোটিভেশন অত্যন্ত স্বাভাবিক বিষয়। সকলেই এই অনুভূতির মধ্যে দিয়ে যায়। এ প্রসঙ্গে তিনি চন্দ্রযান-২ এর সময় ইসরো সফর এবং কঠোর পরিশ্রমী বিজ্ঞানীদের সঙ্গে কাটানো সময়ের কথার উল্লেখ করেন। বলেন কোনদিনও ভুলবেন না সেই কথা।
ছাত্র-ছাত্রীদের যেকোনো রকম ব্যর্থতায় ভেঙে না পড়ার বার্তা দিয়ে মোদী মনে করিয়ে দেন চন্দ্রযান-২ এর কথা। মোদী বলেন, তাঁকে অনেকেই বলেছিলেন ,সেদিনই ইসরোতের না যেতে। যদি অভিযান সফল না হয় তাহলে কি করবেন? আমি বলেছিলাম, সেই কারণেই আমি সেখানে যাব। তারপর কি হয়েছে আপনারা সকলেই টিভিতে দেখেছেন।
ছাত্র ছাত্রীদের উদ্দেশ্যে একাগ্রতার উদাহরণ হিসেবে তিনি মনে করিয়ে দেন, ভারতীয় ক্রিকেটার অনিল কুম্বলের কথা। ২০০১-এ ভারত বনাম অস্ট্রেলিয়া টেস্টের কথা মনে আছে?ব্যর্থতার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছিল ভারতীয় ক্রিকেট দল। আমাদের মেজাজ ভাল ছিলনা। কিন্তু আমরা সেই মুহূর্তগুলো ভুলতে পেরেছি রাহুল দ্রাবিড় ও ভিভিএস লক্ষ্মণ যা করে দেখিয়েছেন তার জন্য। ম্যাচটাকে ঘুরিয়ে দেখিয়েছিলেন তারা। একই ভাবে চোট থাকা সত্ত্বেও ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছিলেন অনিল কুম্বলে। এটাই প্রেরণা ও ইতিবাচক ভাবনার শক্তি।
মোদী বলেন, ভালো নম্বর পাওয়াটাই সব নয়। পরীক্ষাই জীবনের সব এই ধারণা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। পড়াশোনার পাশাপাশি খেলাধূলাসহ অন্যান্য কাজকর্মের সঙ্গে যুক্ত থাকতে হবে। তা না করলে মানুষ রোবট হয়ে যায়। অবশ্যই তার জন্য টাইম ম্যানেজমেন্ট করতে হবে। তার জন্য রয়েছে প্রচুর প্রযুক্তি। মোদী বলেন তিনি আশাবাদী, আজকের যুব সম্প্রদায় প্রযুক্তির সদ্ব্যবহার করবে।