Snake, Bankura, চন্দ্রবোড়া সাপের উপদ্রব ও মৃত্যুতে বাঁকুড়ার গ্রামাঞ্চলে আতঙ্ক

সোমনাথ বরাট, আমাদের ভারত, বাঁকুড়া, ৩০ অক্টোবর: বাঁকুড়া জেলার গ্রামাঞ্চলে সাপের উপদ্রব ও সাপের কামড়ে মৃত্যুর সংখ্যা বৃদ্ধিতে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।বিশেষ করে চন্দবোড়া সাপই এই সময়ে ভীতির কারণ হয়ে উঠেছে। শরতের শেষের দিকে জমি পরিপূর্ণ হয়ে ওঠে ধান গাছে। ধানের লোভে ইঁদুর হানা দেয় ধানজমিতে। আর চন্দ্রবোড়া সাপের প্রধান খাদ্য ইঁদুর। তাই খাবারের লোভে ওৎ পেতে থাকে চন্দ্রবোড়া। জমির আলে, পুকুর, জলাশয়ের ধারে চন্দ্রবোড়া সাপের আড্ডা। জমির পরিস্থিতি দেখতে গিয়ে চন্দ্রবোড়ার কামড়ের ঘটনা বৃদ্ধি পাচ্ছে। বাঁকুড়া জেলাজুড়ে সাপের কামড়ে মৃত্যুর ঘটনাও বৃদ্ধি পাচ্ছে। এতে আতঙ্কিত হয়ে সাপকে পিটিয়ে মারার ঘটনাও বেড়ে চলেছে।

এই ঘটনায় উদ্বিগ্ন মাই ডিয়ার ট্রিজ এন্ড ওয়াইল্ডস নামক পরিবেশবাদী সংস্থা। সংস্থার সভাপতি সঙ্গীতা বিশ্বাস ও সম্পাদক ঝর্ণা গাঙ্গুলি জানান যে, চলতি বছরের প্রথম ৬ মাস বা ১জানুয়ারি থেকে ৩০ জুন সময়ে সাপের কামড়ে মৃত্যুর ঘটনায় বাঁকুড়া জেলা রাজ্যের দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে। এই রিপোর্ট অনুসারে এই ৬ মাসে রাজ্যে ৩৬৪৫২ জন সাপের কামড়ের শিকার হয়েছেন। আক্রান্তদের মধ্যে ৭৫০৪ জনের শরীরে বিষক্রিয়ার প্রভাব লক্ষ্য করা গেছে। এমনকি মৃত্যু হয়েছে রাজ্যে ১২৯ জনের। এই মৃত্যুর সংখ্যা যথাক্রমে পূর্ব বর্ধমানে- ২৭, বাঁকুড়ায়- ১৬, পশ্চিম মেদিনীপুরে – ১২, মুর্শিদাবাদে- ১১ ও পূর্ব মেদিনীপুর -৮ জন। এবিষয় রোধ করতে হলে সচেতন হতে হবে।

বাঁকুড়া জেলায় চন্দ্রবোড়া সাপের সক্রিয়তা বাড়ছে। বাঁকুড়ায় অন্যতম প্রধান বিষধর সাপ হলো চন্দ্রবোড়া। এই সাপ কামড়ালে অনেক ক্ষেত্রেই এভিএস ভাল কাজ করছে না। স্বাভাবিক ভাবেই একটা আতঙ্কের পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। বাঁকুড়ায় চন্দ্রবোড়া সাপ বেশি সক্রিয়। এই সাপের খাবার ইঁদুর। তাই খাবারের খোঁজে চন্দ্রবোড়া ধান জমি, পুকুরের পাড় ও লোকালয়ে ঢুকে পড়ে। ইঁদুর নিয়ন্ত্রণ করে শষ্য রক্ষায় চন্দ্রবোড়ার অবদান অস্বীকার করলে তো আর চলবে না। অন্যদিকে শাঁখামুটি বা শঙ্খিনী সাপ চন্দ্রবোড়া সহ বিভিন্ন বিষধর সাপ খেয়ে তাদের সংখ্যা নিয়ন্ত্রণ করে। কিন্তু জেলায় শাঁখামুটি সাপের সংখ্যা ধীরে ধীরে কমছে। এই সাপও নির্বিচারে মেরে ফেলা হচ্ছে। এই সাপ অত্যন্ত বিষধর হলেও মানুষকে কামড় দেওয়ার ঘটনা বিরল। এতে চন্দ্রবোড়ার মত সাপেদের সংখ্যা বেড়ে চলেছে। তাই সাপ মেরে না ফেলার আবেদন জানিয়েছেন তারা।গান, নাচ ও নাটক প্রচার করছেন। তাদের বক্তব্য, জেলার প্রতিটি ব্লকেই কোনো না কোনো বিষধর সাপ বেশি সক্রিয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *