জয় লাহা, দুর্গাপুর, ১৮ সেপ্টম্বর: পান্ডবেশ্বর পঞ্চায়েত সমিতির খাদ্য কর্মাধ্যক্ষের অস্বাভাবিক মৃত্যুকে ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়াল। রবিবার সকালে নিজের বাড়ি থেকে ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার হয়। খবর পেয়ে অন্ডাল থানার পুলিশ গিয়ে মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়।
পুলিশ সুত্রে জানাগেছে, মৃতের নাম নাদিয়া ধীবর (৫২), পাণ্ডবেশ্বর ব্লকের ছোড়া গ্রামের বাসিন্দা। পেশায় আইনজীবী। দুর্গাপুর কোর্টে তিনি দীর্ঘদিন ধরে ওকালতির কাজের যুক্ত ছিলেন। দুর্গাপুর বার অ্যাসোসিয়েশনের নির্বাচনেও তিনি অংশ নিয়েছিলেন। এছাড়াও তিনি পাণ্ডবেশ্বর পঞ্চায়েত সমিতির খাদ্য কর্মাধ্যক্ষের দায়িত্বে রয়েছেন। নাদিয়া বাবু আগে ছোড়া পঞ্চায়েতের সদস্য ছিলেন। ২০১৩ সালে নির্বাচনে জিতে তিনি জেলা পরিষদের সদস্য ছিলেন।
পরিবার সূত্রে জানা গেছে, অন্যান্য দিনের মত শনিবার রাতে খাওয়া-দাওয়ার পর নাদিয়া বাবু বাড়ির দোতলার নির্দিষ্ট ঘরে শুতে গিয়েছিলেন। রবিবার সকালে নিজের অফিসে প্রয়োজনীয় কিছু কাগজপত্র দেখার পর ফের দোতালায় নিজের রুমে ফিরে যান। সাড়ে সাতটা নাগাদ বাড়ির পরিচালিকা দোতালায় তার ঘর পরিষ্কার করতে গিয়ে নাদিয়া বাবুর ঝুলন্ত দেহ দেখতে পান। তারপর ওই পরিচারিকার চিৎকার চেঁচামেচিতে পরিবারের সদস্য ও পাড়া প্রতিবেশীরা ছুটে আসেন। খবর দেওয়া হয় বনবহাল ফাঁড়ির পুলিশকে। পুলিশ গিয়ে নাদিয়া বাবুর নিথর দেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তে পাঠায়।
খবর পেয়ে সেখানে পৌঁছায় পাণ্ডবেশ্বরের তৃণমূল বিধায়ক নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী, দলের ব্লক সভাপতি কিরিটি মুখোপাধ্যায় সহ তৃণমূলের নেতা কর্মীরা। বিধায়ক নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী জানান, ‘খুবই দুঃখজনক ঘটনা। নাদিয়া প্রতিষ্ঠিত। ভাল সংগঠক। সামাজিক যে কোনো অনুষ্ঠানে পরিবারের সকলকে সঙ্গে নিয়ে যেতেন। তাঁর মৃত্যুতে দলের ক্ষতি হল। কেন এরকম কঠিন সিদ্ধান্ত নিল বুঝতে পারছি না। পুলিশ তদন্ত করছে।”
নাদিয়াবাবুর পরিবারের পাশে থাকার আশ্বাস দেন নরেন্দ্রনাথবাবু। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে অন্ডাল থানার পুলিশ।

