আমাদের ভারত, মালদা, ৩ নভেম্বর: তৃণমূল পরিচালিত গ্রামপঞ্চায়েতের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ তুলে দলেরই এক পঞ্চায়েত সদস্য তালা মেরে ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখাল। মঙ্গলবার ঘটনাটি ঘটেছে মালদহের চাঁচল ১ নম্বর ব্লকের অলি হোন্ডা গ্রাম পঞ্চায়েতে। প্রায় দীর্ঘক্ষণ বিক্ষোভ দেখানোর পর পঞ্চায়েত প্রধানের আশ্বাসে ওই বিক্ষোভ তুলে নেয় শাসকদলের সদস্য ও তার অনুগামীরা।
ওই শাসক দলের নেতা তথা ওই গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্য নজরুল ইসলামের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে ওই হোন্ডা গ্রাম পঞ্চায়েতের সরকারি কর্মচারীরা নির্দিষ্ট সময়ে পঞ্চায়েত দপ্তরের আসছেন না। পাশাপাশি দপ্তরের কাজেও তারা জনগণকে নানাভাবে নাজেহাল করছেন। এদিন এই অভিযোগ তুলে ওই গ্রাম পঞ্চায়েতের সদর দরজায় তালা মেরে বিক্ষোভ দেখান ওই গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূলের সদস্য নজরুল ইসলাম ও তার অনুগামীরা। তিনি আরও অভিযোগ করে বলেন যে, প্রতি দিন পঞ্চায়েত দফতরের কর্মীরা নির্দিষ্ট সময় মত দফতরে আসে না। যার ফলে দফতরে আসা সাধারণ মানুষকে নাজেহাল হতে হয়। যার ফলে আমাদের উপরে ওই ক্ষোভ এসে পড়ে। এদিনও ওই একই চিত্র দেখা গেল। পঞ্চায়েত দফতরের সামনে বহু মানুষ বিভিন্ন কাজে এসে দাঁড়িয়ে রয়েছেন। অথচ দফতরে কোনো কর্মী আসেননি। প্রায় এক ঘন্টা পরে কর্মীরা দফতরে আসলে তাদের দফতরের বাইরে বের করে তালা মেরে বিক্ষোভ দেখানো হয়।
পঞ্চায়েত দফতরে আসা সাধারণ মানুষরা অভিযোগ করেন যে, গত ১৫ দিন ধরে একটা কাজে পঞ্চায়েতে আসছি কিন্তু দফতরে কর্মীদের দেখা মেলে না। এদিনিও প্রায় দুই ঘণ্টা ধরে দফতরের বাইরে কাজের জন্য বসে আছি কিন্তু কোনও কর্মী না আসায় দফতর বন্ধ রয়েছে। তাই আমরাও বিক্ষোভ দেখাছি। যদিও এদিন ওই পঞ্চায়েতের কর্মীদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন কর্মীরা।
ওই দফতরের সচিব সুশীলচন্দ্র দাস জানান, আমরা সঠিক সময়ে দফতরে হাজির হই। মাঝে মাঝেই আমাদের দফতরের বাইরেও কাজ থাকে বা ব্লক দফতরে কাজে যেতে হয়। ফলে কয়েকদিন সময় মত হাজির হতে পারিনি। তবে প্রতিনিয়ত এমন ঘটনা ঘটে না।