আমাদের ভারত, ১৮ জুন: কাশ্মীরের পেহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার পরেই পাকিস্তানকে চাপে ফেলতে ভারত সরকার সিন্ধু জলচুক্তি স্থগিত করে দেয়। আর তারপর থেকে কেন্দ্রীয় সরকার পরিকল্পনা করতে শুরু করে কেমন করে সিন্ধু নদীর জলকে দেশের কাজে আরও বেশি করে লাগানো যায়। এই নিয়ে ইতিমধ্যে নয়া দিল্লি একাধিক পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। এই লক্ষ্যেই কেন্দ্রীয় সরকারের আরো এক পরিকল্পনার কথা সামনে এলো।
একটি সর্বভারতীয় সংবাদ মাধ্যমের প্রতিবেদন অনুসারে এবার পাঞ্জাব, হরিয়ানা এবং রাজস্থানে সিন্ধু নদীর জলকে ব্যাপকভাবে ব্যবহার করতে চাইছে ভারত সরকার। এর জন্য ১১৩ কিলোমিটার দীর্ঘ একটি খাল তৈরি করার পরিকল্পনা চলছে। এই নিয়ে সমীক্ষার কাজ শুরু হয়েছে। এই খালটি চেনাব নদীকে সিন্ধুর অন্যান্য উপনদীর সঙ্গে যুক্ত করবে।
বিভিন্ন সর্বভারতীয় সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত খবরে জানা যায়, এই প্রস্তাবিত খাল জম্মু ও কাশ্মীর, পাঞ্জাব, হরিয়ানা এবং রাজস্থানজুড়ে বিস্তৃত অন্যান্য ১৩টি খালের সঙ্গে যুক্ত হবে।
মনোহর পারিক্কর ইনস্টিটিউট ফর ডিফেন্স স্টাডিজ এন্ড অ্যানালাইসিস- এর একজন সিনিয়র ফেলো উত্তম সিনহা এই বিষয়ে বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনশীলতা এবং পরিবর্তিত বৃষ্টিপাতের ধরণ মোকাবিলায় এই খাল কার্যকর হবে আগামী দিনে।
একই সঙ্গে বিশেষজ্ঞ আরও জানিয়েছেন, কেন্দ্রীয় সরকারের এমন উদ্যোগের ফলে আঞ্চলিক স্তরে যে বৈষম্য রয়েছে তাও দূর হবে। জানা যাচ্ছে, কেন্দ্র সরকার রণবীর খালের দৈর্ঘ্য ৬০ কিলোমিটার থেকে ১২০ কিলোমিটারের কথাও ভাবনা চিন্তা করছে। এই প্রকল্পের লক্ষ্য সিন্ধুর জলকে বেশি করে কাজে লাগানো এবং পাকিস্তানের অতিরিক্ত জলপ্রবাহ রোধ করা।
শনিবার রাজস্থানের বিজেপির একটি প্রশিক্ষণ শিবিরে উপস্থিত ছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। সেখানে এই পরিকল্পনার ইঙ্গিত দেন তিনি। শাহ বলেন, আগামী বছরের মধ্যে এই খালের মাধ্যমে রাজস্থানের শ্রীগঙ্গানগরে সিন্ধুর জল নিয়ে যাওয়া হবে। তিনি আরো জানান, পাকিস্তান সিন্দুর প্রতিটি বিন্দু জলের জন্য আকুল ভাবে প্রার্থনা করবে।