আমাদের ভারত,২৮ মে: ভারতের প্রত্যাঘাতে ভয়ে সিঁটিয়ে গিয়েছিল পাকিস্তান। তাই অপারেশন সিঁদুরের পরেই সংঘর্ষ বিরতির জন্য দিল্লিতে ফোন করেছিল ইসলামাবাদ। সম্প্রতি সূত্র মারফত এমনটাই খবর জানা যাচ্ছে। অর্থাৎ সংঘর্ষ বিরতির জন্য একবার নয়, দু-দুবার দিল্লিতে ফোন করেছিল ইসলামাবাদ।
কিন্তু পাকিস্তানের এই মিনতি যথেষ্ট সন্দেহজনক ছিল, কারণ ততক্ষণে পাক সেনা নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর গোলাবর্ষণ শুরু করে দিয়েছিল। অবশেষে ইসলামাবাদের বারবার মিনতিতে গত ১০ মে এই সংঘর্ষ বিরতিতে রাজি হয় দুই দেশ। সংঘর্ষ বিরতির কথা ঘোষণা করেন ভারতের বিদেশ সচিব বিক্রম মিশ্রি। সেই সময় হট লাইনে কথা হয়েছিল দুই দেশের ডিজিএমও-র।
এরপর ১২ মে আবারও তাদের মধ্যে কথা হয়। সেদিনের আলোচনা মতোই আপাতত সংঘর্ষ বিরতি চলছে। যদিও সংঘর্ষ বিরতি শুরুর পরে পরেই তা লঙ্ঘন করেছিল পাকিস্তান।
এই বিষয়ে ডিজিএমও লেফটেন্যান্ট জেনারেল রাজীব ঘাই হুঁশিয়ারি দিয়ে জানান, একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হলে সেনা কমান্ডারদের তা প্রতিহত করতে পূর্ণ ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি ডিজিএমও আরো জানান, পাকিস্তান চুক্তি ভঙ্গ করতে থাকলে এক বিন্দু জমিও ছাড়বে না ভারত সরকার।
২২ এপ্রিল পেহেলগাঁওয়ে ২৬ জন নিরস্ত্র পর্যটককে চার জঙ্গি হত্যা করে। ধর্ম পরিচয় জেনে তাদের হত্যা করা হয়। এই জঙ্গিদের পথ দেখিয়ে নিয়ে যায় কাশ্মীরের স্থানীয় এক জঙ্গি। এই হামলার জবাবে ৬ মে রাতে অপারেশন চালায় ভারত। গুঁড়িয়ে দেওয়া হয় পাকিস্তান ও পিওকের নয়টি জঙ্গি ঘাঁটি। ভারতের সীমান্তবর্তী রাজ্যগুলির জনবহুল এলাকা এবং সেনাঘাঁটিকে লক্ষ্য করে হামলা চালায় পাকিস্তান। সেই হামলা প্রতিহত করার পাশাপাশি প্রত্যাঘাত করে ভারত। তাতেই তছনছ হয়ে যায় পাকিস্তানের অন্তত ১১টি বায়ু সেনা ঘাঁটি। জানাগেছে, ভারতীয় সেনার অভিযানে নিহত হয়েছে ১০০ জনেরও বেশি জঙ্গি এবং ৩৫-৪০ পাক সেনা জওয়ান।