সুবর্ণরেখা অঞ্চলে পালিত”পঢ়ুঁয়া অষ্টমী” 

আমাদের ভারত, ঝাড়গ্রাম, ২০ নভেম্বর: বুধবার ঝাড়গ্রামের  সুবর্ণরেখা নদী তীরবর্তী এলাকা সহ মেদিনীপুরের বিভিন্ন এলাকায় পালিত হয়েছে “পঢ়ুঁয়া অষ্টমী” বা “পৌড়া অষ্টমী। কোনো কোনো অঞ্চলে এই লোকাচারকে “পোড়া অষ্টমী” বা প্রথমা অষ্টমীও বলা হয়। মেদিনীপুরের বিভিন্ন এলাকা সহ সুবর্ণরেখা অববাহিকায় দক্ষিণ পশ্চিম সীমান্ত বাংলার অন্যতম সামাজিক ও পারিবারিক উৎসব এই পঢ়ুঁয়া অষ্টমী পালিত হয় রাসযাত্রার পরের কৃষ্ণা অষ্টমী তিথিতে।

পিতামাতার প্রথম সন্তান বা জেষ্ঠ্য সন্তানের মঙ্গলকামনা করা হয় এই লৌকিক উৎসবে। উৎসবে পুত্র বা কন‍্যার বাছবিচার করা হয় না। ছেলে মেয়েদের সমান অধিকার দেওয়া হয়। সাবেকি রীতি অনুযায়ী  নতুন পোষাক, ধান, দুর্বা, ফুল, চন্দন, মিষ্টি নিয়ে আসেন মামাবাড়ির লোকজনেরা। নিজেদের বাড়িতেও কেনা হয় নতুন জামাকাপড়। বাড়ির উঠোনে তুলসী মঞ্চের সামনে মায়েরা কলাপাতার উপর বিরির বড়ি বসান সন্তানের মঙ্গলকামনায়।

যাদের অষ্টমী তারা এদিন কাঁচা হলুদ বাটা ও গঁধাউলার(আবাটা) মিশ্রণ মেখে স্নান করেন। স্নানের পর নতুন পোষাক, নতুন রেশম(ঘুনসী) পরেন। তারপর যার অষ্টমী তার কপালে চন্দনের টিকা পরিয়ে দেন মা সহ বড়রা। ধান, দুর্বা ছিটিয়ে দেওয়া হয় মাথার উপর। চলে শঙ্খ ধ্বনি। মাথায় গুঁজে দেওয়া হয় গাঁদা ফুল। বাড়ির বিবাহিত পঢ়ুঁয়া ছেলে বা বাড়ির বৌদের মধ্যে কেউ পঢ়ু়ঁয়া থাকলে তারও অষ্টমী পালিত হয়। তবে বিয়ের পর মামাবাড়ি থেকে নতুন জামাকাপড় আসাটা বাধ‍্যতামূলক থাকে না।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *