চিন্ময় ভট্টাচার্য, আমাদের ভারত, ৩ এপ্রিল: দেশের লকডাউন পরিস্থিতিতে গরিব-দুঃস্থদের মুখে খাবার তুলে দিতে উদ্যোগী হল প্রশান্ত কিশোরের সংস্থা, ‘ইন্ডিয়ান পলিটিক্যাল অ্যাকশন কমিটি’ বা ‘আইপ্যাক’। রবিবার থেকে আগামী ১০ দিন তারা ভারতের ২০-২৫টি শহরে লকডাউনের কারণে আটকে পড়া শ্রমিকদের মুখে খাবার তুলে দেবে। ‘সব কী রসুই’ নামে এই কর্মসূচিতে প্রতিদিন গড়ে দেড় লক্ষ খাবারের প্যাকেট বিলি করবেন এই সংস্থার কর্মীরা।
লকডাউনের জন্য কারখানা, বিভিন্ন নির্মাণকাজ বন্ধ। পাশাপাশি, সমস্ত গণ পরিবহণ বন্ধ থাকায় লক্ষ লক্ষ শ্রমিক বাড়িতেও ফিরতে পারেননি। দিল্লি, মুম্বই থেকে সব বড় শহরে আটকে থাকা এই অভিবাসী শ্রমিক ও অসংগঠিত ক্ষেত্রের কর্মীদের বেশিরভাগই রাস্তায় অভুক্ত অবস্থায় দিন কাটাচ্ছেন। কেউ কেউ আবার হেঁটে ঘরে ফিরতে গিয়ে রাস্তাতেই প্রাণ হারিয়েছেন। সূত্রের খবর, এই কারণেই প্রশান্ত কিশোর (পিকে)-র সংস্থা সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তারা বিভিন্ন রাজ্যে আটকে পড়া শ্রমিকদের মুখে খাবার তুলে দেওয়ার বন্দোবস্ত করবে।
দেশের এমন কঠিন পরিস্থিতিতে, কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকারগুলোর পাশাপাশি, রাজনৈতিক দল থেকে শুরু করে স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাও এগিয়ে এসেছে। অনেক শ্রমিকই খোলা আকাশের নীচে দিন কাটাচ্ছেন। এই পরিস্থিতিতে আগামী ৫ এপ্রিল থেকে দেশের ২৫টি শহরে আটকে পড়া শ্রমিকদের দুপুরের খাবার তুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ‘আইপ্যাক)। খাবার তৈরি থেকে সেগুলো প্যাকেটবন্দি করে মানুষের হাতে তুলে দেওয়া হবে। মূলত তিন দফায় এই কর্মসূচি ভাগ করা হয়েছে। লকডাউনের সময় সরকারি গাইডলাইন মেনে যাতে এই কর্মসূচি সফল করা যায়, তার যাবতীয় ব্যবস্থা ইতিমধ্যে করে ফেলেছে পিকের সংস্থা। ৫ এপ্রিল থেকে ১০ দিন প্রথম দফায়, ১৫ লক্ষ মানুষের দুপুরের খাবার তৈরি এবং বিলির জন্য এক হাজারের ওপর স্বেচ্ছাসেবক নিয়োগ করা হয়েছে বলেও এই সংস্থার সূত্রে জানা গিয়েছে।
বর্তমানে তামিলনাড়ুতে ডিএমকে ও পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেসের হয়ে আগামী বিধানসভা নির্বাচনের ঘুঁটি সাজানোর দায়িত্ব নিয়েছেন প্রশান্ত কিশোর। এই দায়িত্ব পালনের সঙ্গে সঙ্গেই দেশের গরিব দুঃস্থ জনতার মুখে অন্ন তুলে দিয়ে সংস্থাটি সামাজিক দায়বদ্ধতা পালন করতেও চাইছে।