সোশ্যাল মিডিয়ায় ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ, তবে কি কংগ্রেস ছাড়ছেন সোমেনপুত্র রোহন

রাজেন রায়, কলকাতা, ১৩ নভেম্বর: বিধানসভা ভোটের আগে জল মাপতে শুরু করেছেন বিভিন্ন দলের নেতারা। প্রত্যেক দলই অন্য দলের ঘর ভেঙে নিজেদের ঘর গোছাতে শুরু করেছে। কিছুদিন আগে মুকুল পুত্র শুভ্রাংশু সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে জল্পনার পারদ বাড়িয়েছিলেন। আর এবার সোশ্যাল মিডিয়ায় একের পর এক তাৎপর্য পূর্ণ ট্যুইট করে জল্পনা বাড়ালেন প্রয়াত কংগ্রেস নেতা সোমেন মিত্রের পুত্র তথা প্রদেশ কংগ্রেস সাধারণ সম্পাদক রোহন মিত্র। আর তাতেই এবার রোহন মিত্রের দল বদলের জল্পনাও উসকে দিয়েছে।

রাজনৈতিক মহলের একাংশের মনে ইতিমধ্যেই প্রশ্ন দানা বেধেছে, তবে কি রোহন এবার দল ছাড়ছেন? তাই কি দলের অন্দরে থেকে দলের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষনা করেছেন সোশাল মিডিয়ায়।
একদিকে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী তৃণমূলের বিরুদ্ধে জেহাদ ঘোষনা করছেন। আবার বিক্ষুদ্ধ তৃণমূলীদের দলে আহ্বান করছেন। সেখানে দাঁড়িয়ে রোহনের পাল্টা বিদ্রোহ কংগ্রেসকে যথেষ্ট অস্বস্তিতে ফেলেছে।

উল্লেখ্য,সোমেনবাবুর জমানায় রোহন বেশ কদর পেতেন প্রদেশ কংগ্রেসে। কিন্তু অধীর জমানায় তা আর হচ্ছে না। বিভিন্ন অনুষ্ঠানেও তাঁকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। শুধু তাই নয়, সোমেন শিবিরের কেউই সে অর্থে আর গুরুত্ব পাচ্ছেন না প্রদেশ কংগ্রেসে। সোমেনপন্থীদের যুক্তি ছিল, আগামী বিধানসভা নির্বাচনে প্রধান শত্রু হিসাবে চিহ্নিত করা হোক তৃণমূলকে নয়, বিজেপিকে। বামেদের সঙ্গেও সেই ভাবেই সমঝোতা হোক যাতে তৃণমূলের সঙ্গে লড়াই করতে গিয়ে বিজেপির সুবিধা করে না দেওয়া হয়। কিন্তু অধীর নিজে ও তাঁর অনুগতরা সেই দাবি মানেননি। তার জেরেই প্রদেশ কংগ্রেসে ক্রমশ কোনঠাসা হচ্ছেন ও গুরুত্ব হারাচ্ছেন সোমেনপন্থীরা।

ঠিক এই রকম অবস্থায় রোহনের জার্সি বদলের সম্ভাবনা সোমেন শিবিরে নতুন আশার আলো দেখিয়েছে। কারণ সোমেন অনুরাগীদের মধ্যে অনেকেই এখন জানাচ্ছেন, সাম্প্রদায়িক দলকে রুখতে রোহন সঠিক পথই বেছে নিয়েছে। তবে রোহন নিজে এখনও এই বিষয়ে সরকারি ভাবে কিছু জানায়নি।

রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় কংগ্রেসের যে ছোট ছোট পকেট ছিল সেগুলিতে এবার ক্লিন স্যুইপ দিতে চলেছে তৃণমূল। সপ্তাহ দেড়েক আগেই কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন বাদুড়িয়ার বিধায়ক। এবার কী তবে আসছেন রোহন? এ প্রশ্নের উত্তর হয়তো পাওয়া যাবে কিছুদিন পরেই।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *