robbery, Bankura, ঢিল ছোড়া দূরত্বে ফাঁড়ি, বাঁকুড়ার চকবাজারে একাধিক দোকানে দুঃসাহসিক চুরি

সোমনাথ বরাট, আমাদের ভারত, বাঁকুড়া, ৫ জুলাই: ফাঁড়ির ঢিল ছোড়া দূরত্বে অবস্থিত বাজারে দুঃসাহসিক ভাবে পরপর দোকান ভেঙ্গে চুরির ঘটনা ঘটলেও টের পেল না পুলিশ। এই ঘটনায় বাঁকুড়া শহরজুড়ে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। পাশাপাশি পুলিশের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।

গত কয়েকদিন ধরে শহরে হকার ও জবরদখল
উচ্ছেদকে ঘিরে উত্তেজনা রয়েছে। এরই মধ্যে শহরের প্রাণকেন্দ্র সুভাষ রোডে প্রাচীন চকবাজারে দুঃসাহসিক ভাবে পরপর কয়েকটি দোকানে তালা ভেঙ্গে চুরি হয়েছে। টাকাপয়সা চুরির সঙ্গে দুষ্কৃতীরা ইলিশ, ভেটকির মত দামি মাছও নিয়ে যায়। চুরির ঘটনা জানাজানি হতেই সকালে বাজারের ব্যবসায়ীরা জড়ো হন। একটি মাছের আড়ৎ, ডিমের পাইকারি দোকানের তালা ভেঙ্গে ক্যাশ বাক্স নিয়েই চম্পট দিয়েছে।এই ঘটনায় ব্যবসায়ীরা তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।সামনেই ফাঁড়ি থাকা সত্বেও দুষ্কৃতীরা অবাধে তালা ভেঙ্গে চুরি করলো কিভাবে? প্রশ্ন তুলেছেন তারা।

তাদের অভিযোগ, এখানে রাত নামলেই দুষ্কৃতীদের আড্ডা জমে, মদ, গাঁজার আসর বসে। পুলিশ কোনও ব্যবস্থা নেয় না। চুরি যাওয়া মাছের আড়ৎদার মনসা ধীবর বলেন, বেশি রাতে খবর পাই দোকানে চুরি হয়েছে। ভয়ে একা আসার সাহস হয়নি। বাড়ির লোকজনদের নিয়ে এসে দেখি দোকানের তালা ভাঙ্গা, দুষ্কৃতিরা ক্যাশ বাক্স নিয়ে পালিয়েছে। সঙ্গে ভেটকি, ইলিশ মাছও নিয়ে গেছে।পাশেই ডিমের দোকান। সেখানেও তালা ভেঙ্গে চুরি হয়। কুড়ি হাজারের মত টাকা চুরি হয়েছে বলে জানান দোকানের মালিক মীর সেলিম।

ঘটনার খবর পেয়ে স্হানীয় কাউন্সিলর রাজীব দে বাজারে এসে হাজির হন।চকবাজারে মত ব্যবসায়িক এলাকায় পরপর সাতটি দোকানে চুরির ঘটনা ঘটেছে জানিয়ে তিনি উদ্বেগ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, এখানে রাত বাড়লেই দুষ্কৃতীদের আড্ডা, এটা বন্ধ করতে হবে। নিয়মিত পুলিশের টহল জরুরি। আগে রাতে সিভিক ভলান্টিয়ার থাকতো, এখন আর দেখা যায় না। অবিলম্বে পুলিশি ব্যবস্থার দাবি জানান তিনি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *