আমাদের ভারত, উত্তর ২৪ পরগনা, ২১ ফেব্রুয়ারি:
আন্তর্জাতিক ভাষা দিবসের অনুষ্ঠানের শুরুতেই সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন, জাতীয় জনগণনা পঞ্জি এবং জাতীয় নাগরিক পঞ্জি নিয়ে সরব হল তৃণমূল। ভারত বাংলাদেশ পেট্রাপোল সীমান্তে আন্তর্জাতিক ভাষা দিবস অনুষ্ঠানের শুরুতেই এনআরসি, সিএএ এবং এনপিআরের বিরোধিতা করে শপথ নিল তৃণমূল সমর্থক থেকে নেতা কর্মীরা। তারপরই শুরু হল চণ্ডিপাঠ, আজান, ও বাইবেলের কিছু কথা। প্রতি বছরের মতো এবারও ভাষা দিবসে পেট্রাপোল এবং বেনাপোলে সীমান্তের ‘নো ম্যান্স ল্যান্ডে’ এবার যৌথ অনুষ্ঠান করলেন দুই বাংলার শিল্পী, সাহিত্যিক,
বুদ্ধিজীবীরা। আয়োজক ছিল দুই বাংলার যৌথ মঞ্চ ‘অমর একুশে দুই বাংলা’।
শুক্রবার সকাল থেকেই ভাষা দিবসের অনুষ্ঠানে মেতে ওঠে দুই বাংলা। এদিন বেনাপোল ও পেট্রাপোল সীমান্তের নো ম্যানস ল্যান্ডে যৌথ মঞ্চ বানানো হয়। বাংলাদেশ থেকে এসেছিলেন অনেক পড়ুয়া। তাঁদের কারও হাতে ছিল বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা, কারও গাল রাঙানো ছিল সেই পতাকার রঙে। মাথায় ছিল ‘অমর একুশে’ লেখা ফেট্টি তাঁর পাশে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন বিরোধিতার ছাপ।
এ দিন বাংলাদেশ থেকে রং-তুলি নিয়ে আসা সরিফুল নামে এক বছর পঁচিশের যুবক অনেকের গাল রাঙিয়ে দিচ্ছিলেন লাল-সবুজ রঙে। ছিলেন বৃদ্ধ, বৃদ্ধারাও। তাঁর বাড়িও বাংলাদেশে। সাহানারা বিবি বলেন, প্রতিবছর টিভিতে বা লোকের মুখে গল্প শুনি। এবার নিজে চোখে দেখলাম একুশের দিনে দুই বাংলা এক সঙ্গে অনুষ্ঠান করছে।
ভারতীয় এক একুশের সদস্য রতন বিশ্বাস বলেন, ভাষা দিবসের দিনও রাজনৈতিক তকমা। এদিন গান করেন বাংলাদেশের ফুরশিদ আলম, এই বাংলার গানের দল মাদল, বাউল শিল্পী তুলিকা, গঙ্গাধর ও রুপঙ্কর বাগচী।
এ দিন বাংলাদেশের বেনাপোল এবং ভারতের পেট্রাপোল সীমান্তে রক্তদান শিবির হয়। অনুষ্ঠানে ছিলেন বনগাঁ জেলা পুলিশ সুপার তরুণ হালদার, মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, বনগাঁ পুরসভার চেয়ারম্যান শঙ্কর আঢ্য, কৃষ্ণা রায় সহ অনেকে। তরুণবাবু বলেন, দুই বাংলা এক সঙ্গে অনুষ্ঠান করায় আবেগ অনেক বেশি।জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের কথায়, ‘‘এই উদ্যোগের ফলে দুই দেশের সম্পর্ক আরও দৃঢ় হবে।