আমাদের ভারত, ৬ সেপ্টেম্বর: কাশ্মীরের পহেলগাঁওতে জঙ্গি হামলার জবাবে ভারতীয় সামরিক বাহিনী পাল্টা অভিযান অপারেশন সিঁদুর শুরু করেছিল ৭ মে। মনে করা হয়েছিল এই অভিযান মাত্র তিন দিন ১০ মে -তে শেষ হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু সেনাপ্রধান জেনারেল উপেন্দ্র দ্বিবেদী সম্প্রতি জানিয়েছেন, অপারেশন সিঁদুর আসলে আরো দীর্ঘ সময় ধরে চলেছে।
একটি অনুষ্ঠানে সেনাপ্রধান বলেন, অনেকে ভাবছেন ১০ মে যুদ্ধ শেষ হয়ে গিয়েছিল, না সেটা ঠিক নয়। অভিযান আরো অনেক দিন ধরে চলেছে, কারণ অনেকগুলি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া বাকি ছিল। তার বাইরে আরো কিছু বিষয় আছে যা আমি এখানে খোলসা করতে পারব না।
সীমান্ত পরিস্থিতি নিয়ে সেনা প্রধান বলেছেন, এখনই বলা সম্ভব নয় যে অপারেশন সিঁদুর কতটা প্রভাব ফেলেছে। তিনি জানান, পাকিস্তান সমর্থিত সন্ত্রাস এখনো বন্ধ হয়নি, কারণ সীমান্তে এখনো অনুপ্রবেশের চেষ্টা চলছে।
তাঁর কথায়, আমরা জানি, কিছু জঙ্গিকে খতম করা হয়েছে। আবার কেউ কেউ পালিয়েও গেছে, তবে তাঁর দাবি, সেনার সমন্বয়েই এই সাফল্য ধরা দিয়েছে।
অপারেশনের সময় সেনার বিভিন্ন ইউনিটের মধ্যে অসাধারণ সমন্বয়ের কথা তুলে ধরেন জেনারেল। তাঁর মতে, পুরো সেনা একসঙ্গে এক সুরে চলেছিল। যেন এক ছন্দবদ্ধ ঢেউ। প্রত্যেকে নিজের দায়িত্ব সম্পর্কে সচেতন ছিল।
তিনি আরো বলেন, এখন যুদ্ধে একাধিক সংস্থাকে নিয়ে কাজ করতে হয়। তিন বাহিনী ছাড়াও থাকে সিভিল এবং সাইবার এজেন্সি, তাই একক নেতৃত্বের অধীনে কাজ করাই একমাত্র উপায় বলে জানান তিনি। তাঁর কথায়, থিয়েটারাইজেশন হবেই আজ হোক বা কাল। এখন কমান্ড ছাড়া কার্যকরী অপারেশন সম্ভব না বলে স্পষ্ট করেন তিনি।
জেনারাল দ্বিবেদী সম্প্রতি কেন্দ্রের ঘোষিত জিএসটি সংস্কারকে স্বাগত জানিয়েছেন। বিশেষ করে ড্রোনের কর ১৮% থেকে কমিয়ে ৫% করার সিদ্ধান্তকে গুরুত্বপূর্ণ বলে উল্লেখ করেছেন। তাঁর মতে, এতে সেনাবাহিনীর কেনাকাটা আরো গতিপ্রাপ্ত হবে। প্রতিরক্ষা ক্ষেত্র আরো শক্তিশালী হবে এবং ছোট ব্যবসা ও স্ট্যাটাস গুলি অনেক বেশি সুযোগ পাবে।
অন্যদিকে চেন্নাইতে এক অনুষ্ঠানে এয়ার চিফ মার্শালও তিন সেনার যৌথতার গুরুত্ব তুলে ধরেন।অফিসার ট্রেনিং অ্যাকাডেমি সমাবর্তন অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, অপারেশন সিঁদুর তিন বাহিনীর অসাধারণ সমন্বয় ও একসঙ্গে কাজ করার উদাহরণ। ভবিষ্যতের জন্য এই যৌথ মনোভাব আরো এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে।