আমাদের ভারত, ২৭ জুলাই: পেহেলগাঁওয়ে ধর্মের নামে বাছাই করে নিরীহ হিন্দু পর্যটকদের ওপর জঙ্গি হামলার তিন মাস পর বদলা নিলো ভারতীয় সেনা। অপারেশন মহাদেব অভিযানে জন্মু ও কাশ্মীরে সেনার গুলিতে খতম তিন জঙ্গি। সূত্রের খবর, নিহত জঙ্গিদের মধ্যে রয়েছে বৈসারণ উপত্যকার হামলার মাস্টার মাইন্ড সুলেমান মুসা ও তার দুই সঙ্গী। পাক মদত পুষ্ট জেহাদি সংগঠন লস্কর- ই- তৈবার সদস্য মুসা পাক সেনাবাহিনীতে হাসিম মুসা নামেই কাজ করতো আগে।
সেনা সূত্রে খবর, গোপন সূত্রে খবর পেয়ে সোমবার সকালে শ্রীনগরে দাচিগাঁও জঙ্গল এলাকায় অভিযানে নামে ভারতীয় সেনা। অভিযানের নাম ছিল অপারেশন মহাদেব। জঙ্গিদের সম্ভাব্য ঘাঁটিকে টার্গেট করে গোটা এলাকা ঘিরে ফেলে নিরাপত্তা বাহিনী। এই অবস্থায় পিছু হটার জায়গা না পেয়ে সেনাকে লক্ষ্য করে ছুটতে থাকে জঙ্গিরা। পাল্টা জবাব দেয় যৌথ বাহিনী। দীর্ঘক্ষণ দু’পক্ষের লড়াই চলার পর তিন জঙ্গির মৃত্যু হয়েছে। নিহত জঙ্গিদের মধ্যে রয়েছে বৈসারণ উপত্যকার হামলার মাস্টার মাইন্ড সুলেমান মুসা ও তার দুই সঙ্গী আবু হামজা ও ইয়াসির। এই অঞ্চলে বেশ কয়েকজন জঙ্গি এখনো লুকিয়ে রয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। ফলে এলাকাজুড়ে চলছে চিরুনি তল্লাশি।
প্রাথমিক রিপোর্টে জানা গিয়েছে, মৃত জঙ্গিরা প্রত্যেকেই লস্কর- ই- তৈবার সদস্য। পেহেলগাঁও জঙ্গি হামলার সঙ্গে এরা প্রত্যক্ষভাবেই যুক্ত ছিল। কেন্দ্রীয় সরকারি তদন্ত সংস্থা এনআইএ আগে জানিয়েছিল, পেহেলগাঁও সন্ত্রাসে তিন পাক জঙ্গি যুক্ত ছিল।
গত বাইশে এপ্রিল পেহেলগাঁও জঙ্গি হামলার মৃত্যু হয়েছিল ২৬ জন পর্যটকের। ঘটনার তদন্তে নেমে কাশ্মীরের স্থানীয় দু’জনকে গ্রেপ্তার করে এনআইএ। ওই হামলায় তিনজন লস্কর জঙ্গি যারা পাক নাগরিক তারা যুক্ত ছিল।
প্রসঙ্গত, বাহিনী এমন একটা দিনে সাফল্য পেল, ঠিক যেদিন সংসদে পেহেলগাঁও হানার পরবর্তী অপারেশন সিঁদুর নিয়ে সংসদে আলোচনা চলছে। প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং সরকারের তরফে বক্তব্য রাখছেন। বিরোধীরা এতদিন পেহেলগাঁও জঙ্গি হামলার চক্রীদের ধরা না পড়া নিয়ে সরকারকে কাঠগড়ায় দাঁড় করাচ্ছিল। সেই সময় এই সাফল্য পেল সেনা।