মাত্র ১৭ বছরেই চাকরি, এবার প্রাথমিকে নিয়োগে নতুন বিতর্ক

আমাদের ভারত, ২৩ জুন: মাধ্যমিক শিক্ষা পর্ষদের বিরুদ্ধে আর একটা নয়া অভিযোগ আনতে চলেছে নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে সরব মামলাকারীরা। জানা গেছে, আগামী শুনানিতে তারা আদালতকে জানাতে চলেছেন পর্ষদ এক নাবালককেও শিক্ষকের চাকরির পরীক্ষায় বসার অনুমতি দিয়েছিল। ওই নাবালক চাকরি প্রার্থী পরীক্ষায় অকৃতকার্য হওয়ার পরেও তাকে ২০১৭ সালের প্রাথমিক শিক্ষক হিসেবে কাজের নিয়োগপত্র দেওয়া হয় বলে অভিযোগ।

মামলাকারীদের অভিযোগ, স্কুলের গন্ডি না পেরোনোকেও স্কুলে পড়ানোর দায়িত্ব দিয়েছিল পর্ষদ। মামলাকারীদের আইনজীবী জানিয়েছেন, প্রাথমিকে নিয়োগ দুর্নীতি সংক্রান্ত পরবর্তী শুনানিতে তারা এই বিষয়টি আদালতের নজরে আনতে চলেছেন।

যে নাবালকের বিরুদ্ধে টেট পরীক্ষায় বসার অভিযোগ তার বাড়ি পূর্ব বর্ধমানে। ২০১৪ সালে যখন সে টেট পরীক্ষায় বসে তখন তার বয়স ছিল ১৭ বছর ৯ মাস অর্থাৎ তার ক্লাস টুলেভে পড়ার কথা, টেট নিয়ে মামলাকারীরা তাদের অভিযোগে এমনটাই জানিয়েছেন। তাদের আরও অভিযোগ, ওই ব্যক্তি পরীক্ষায় অকৃতকার্য হলেও ২০১৭ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি চাকরির নিয়োগপত্র পায়। সূত্রের খবর, এমন আরও ফেল করা নাবালক রয়েছে পর্ষদের প্রাথমিক শিক্ষক হিসেবে চাকরি পাওয়া প্রার্থীদের তালিকায়।

এসএসসি শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির পাশাপাশি প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষক নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। কলকাতা হাইকোর্টের মামলাটি বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়েয় একক বেঞ্চে উঠলে তিনি এই মামলায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেন। বৃহস্পতিবার মামলাটি পর্ষদ ডিভিশন বেঞ্চে নিয়ে গেলে ওই বেঞ্চ পর্ষদের কাছে পাল্টা জানতে চায়, বেনিয়মের যে উদাহরণ দেখা যাচ্ছে তাতে কি বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশে সঠিক নয় বলে মনে হচ্ছে?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *