সায়ন ঘোষ, বনগাঁ, ১৮ নভেম্বর: গোরু, মোটরবাইক, হেরোইন, সোনার বিস্কুট, কাফ সিরাপ তো আছেই। এবার ভারত- বাংলাদেশ সীমান্ত দিয়ে পাচার তালিকায় নাম জুড়ল পিঁয়াজের। বাজারে পিঁয়াজের দাম আকাশ ছোঁয়া। দামের রাশ টানাতে বাংলাদেশ পিঁয়াজ রফতানি আগেই বন্ধ করে দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। তারপর থেকেই পুলিশের নাকের ডগা দিয়ে প্রতিদিন কয়েকশো বস্তা পিঁয়াজ পাচার হচ্ছে বাংলাদেশে। উত্তর ২৪ পরগণার বনগাঁ, গাইঘাটা, বাগদা এলাকায় ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে গেলেই দেখা মিলবে বস্তা বস্তা পিঁয়াজ পাচার চলেছে সীমান্ত দিয়ে। এর ফলে ভারতীয় বাজারে পিঁয়াজের দামও বাড়ছে।
স্থানীয় সূত্রের খবর, বনগাঁ শহরের উপর দিয়ে সাইকেলে বা অটোতে করে প্রতিদিন বস্তা বস্তা পিঁয়াজ চলে যাচ্ছে সীমান্তে। মূলত গাইঘাটার আংরাইল, বাগদার বয়রা, বনগাঁর খলিত পুর সীমান্ত ব্যবহার করেই বাংলাদেশে পিঁয়াজ পাচার করা হচ্ছে। ইচ্ছামতী নদী পেরিয়ে যাচ্ছে বস্তা বস্তা পিঁয়াজ। এক সব্জি বিক্রেতা রবি দত্ত জানান, পাচারকারীরা লোকাল বাজার থেকে পিঁয়াজ কিনছে। একটি বস্তায় ৪৫ থেকে ৫০ কেজি পিঁয়াজ থাকে। সাইজে ছোট পিঁয়াজ পাইকারি দাম প্রতি কেজিতে ৫৮ টাকা দিয়ে বনগাঁর বিভিন্ন বাজার থেকে কিনছে। বাংলাদেশে তারা বিক্রি করছে কেজি প্রতি ১৫০ টাকা।
বাংলাদেশে পিঁয়াজের চাহিদা চিরকাল বেশি। এক সময় রফতানিও হতো এই পিঁয়াজ। ভারতে চাহিদার থেকে যোগান কম, সেই কারনে রফতানি বন্ধ করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। ক্লিয়ারিং এজেন্ট সৌমেন দত্ত বলেন, এক সময় বাংলাদেশের পাসপোর্ট করে আসা যাত্রীরা দেশে ফেরার সময় হাত ব্যগে করে আপেল, আঙুর বা বিভিন্ন ফল নিয়ে যেত। এখন লক্ষ্য করা যাচ্ছে যাত্রীরা দুই ব্যাগ ভর্তি করে পিঁয়াজ নিয়ে যাচ্ছে। অভিযোগ, এই ভাবে বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে পিঁয়াজ বাংলাদেশে যাওয়ার ফলে ভারতীয় বাজারে পিঁয়াজের দাম আকাশ ছোঁয়া। প্রশাসন সব দেখেও চোখ বন্ধ করে রয়েছে।