আমাদের ভারত,১০ মে: আগে ভাগেই কোনো রকম র্যাপিড টেস্ট ছাড়াই দুর্গাপুরকে করোনা মুক্ত ঘোষণা করেছিল প্রশাসন। কিন্তু এবার সেই দুর্গাপুরেই করোনা আক্রান্তের সন্ধান মিলল। বছর ছিয়াত্তরের এক ব্যক্তিকে ইতিমধ্যেই দুর্গাপুরের কোভিড হাসপাতাল সনোকায় ভর্তি করা হয়েছে। তার পরিবারের সকলের নমুনা সংগ্রহ করে টেস্ট করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে ও তাদের কোয়ারিন্টিনে পাঠানো হয়েছে।
জানা গেছে দিন কয়েক আগে ইস্পাত নগরীর এ-জোন স্থিত সিং আর দাস অ্যাভিনিউয়ের এই বাসিন্দা কিডনি ও হার্টের অসুখের জন্য দুর্গাপুরের হেল্থ ওয়ার্ল্ড হাসপাতালে ভর্তি হন। গত পাঁচ দিন তিনি এই হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। তার এই শারিরীক অসুবিধা গুলি ছাড়াও জ্বর আসে, করোনার উপসর্গ দেখা দেয়। তখনই তার কোভিড-১৯ পরীক্ষা করতে পাঠানো হলে রিপোর্ট পজিটিভ আসে। এরপর তাকে দুর্গাপুরের কোভিড হাসপাতাল সনোকায় পাঠানো হয়েছে।
ঘটনায় এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে। ঐ ব্যক্তির পরিবারের পাঁচ সদস্যেকে দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যায় পুলিশ। সেখানে তাদের নমুনা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। তাদের কোয়ারিন্টিনও করা হয়েছে।
প্রশাসনিক সূত্রে খবর ঐ ব্যক্তির ছেলে ধর্ম প্রচারক। সেই কাজে সম্প্রতি সে বাইরে গিয়েছিলো। ফলে সেখান থেকে সংক্রমিত হবার সম্ভাবনা রয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।
প্রশাসন ইতিমধ্যেই সি আর দাস অ্যাভিনিউয়ে সংলগ্ন এলাকা স্যানিটাইজ করার কাজ শুরু করেছে। করোনা পরিস্থিতিতে ভিড় এড়াতে ও এলাকার সন্নিকটস্থ কনিষ্কতে একটি বড় মাঠে বেনাচিতির নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের বাজার বসানো হয়েছিল। ফলে সেখানেও সংক্রমণ ছড়ানোর আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। কনিষ্কর ওই রাস্তা দিয়েই ইস্পাত কারখানার শ্রমিকরা নিত্যদিন যাতায়াত করছেন। ফলে এই ঘটনার পর গোটা ইস্পাত নগরী জুড়ে আতঙ্ক ছড়িয়েছে। বেনাচিতি বাজার সিল করে দেওয়ার চিন্তা ভাবনা করছেন পুলিশ বলে জানা গেছে।
আগে ভাগেই কোনো রকম র্যাপিড টেস্ট না করে ইস্পাত নগরী দুর্গাপুরকে করোনা মুক্ত ঘোষণা করে রাজ্য প্রশাসন কার্যত শিল্প শহরকে বিপদের মুখে ঠেলে দিয়েছে। আজকের ঘটনা সেটাই প্রমাণ করে। প্রশাসনের উদাসীনতার জন্যই আজ দুর্গাপুরে মানুষ বিপদের মুখে পড়েছে বলে অভিযোগ করেছেন বড় অংশের শহরবাসী। রাজ্যে একের পর এক গ্রিন জোন হিসেবে ঘোষণা করা জায়গাগুলোতে করোনা আক্রান্তের খোঁজ মেলায় আতঙ্ক বাড়ছে মানুষের মধ্যে।
Baktitir naam bole Kichu ache na nei?
Ek basinda mane ta ki? Reporting korte gechen kintu naam tai janlen na