ভয়াবহ! একজন করোনা আক্রান্ত রোগী সংক্রামিত করতে পারে ৪০৬ কে

আমাদের ভারত, ৭ এপ্রিল: করোনা ভাইরাসকে আটকাতে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার গুরুত্ব কতটা তা আজ সাংবাদিক বৈঠকে রীতিমতো হিসেব কষে বুঝিয়ে দিলেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী যুগ্মসচিব লব আগারওয়াল। তিনি বলেন সামাজিক বা পারস্পরিক দূরত্ব বিধি যদি না মেনে চলা হয় তাহলে একজন করোনা সংক্রমিতের কাছ থেকে কতজন আক্রান্ত হতে পারে তা গবেষণা করেছে ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিকেল রিসার্চ। এই গবেষণা চালানো হয়েছে রিপ্রোডাকশন নম্বরের উপর ভিত্তি করে। আর হিসেব বলছে একজন করোনা সংক্রমিতের কাছ থেকে ৪০৬ সংক্রমিত হতে পারে।


এই আর নট হচ্ছে একটি অংকের হিসেব। যার দ্বারা বোঝা যায় কোনো ভাইরাস ঘটিত রোগ মহামারীর পর্যায়ে যাবে কিনা। আর যদি তার যায় তাহলে কি পরিমাণে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়তে পারে মানুষের মধ্যে।

লব আগারবাল আর নট বা রিপ্রোডাকশন নাম্বার হিসেবে বুঝিয়ে বলেন, যদি সামাজিক দূরত্ব বিধি না মেনে চলা হয়, তাহলে একজন কোবিড-১৯ আক্রান্ত ব্যক্তির ৩০ দিনের মধ্যে ৪০৬ জনকে সংক্রমিত করতে পারেন।

আর লক ডাউন বিধি ৭৫ শতাংশ মেনে চলা হলে দেখা যাবে একজন আক্রান্ত থেকে এক মাসে মাত্র দুই থেকে আড়াই জন সংক্রমিত হচ্ছেন। আর নট নম্বরের স্কেলে সংক্রমণের রেইট ১.৫ থেকে ৪.০।

এই রিপ্রোডাকশন নাম্বার দু রকমের হয়। করোনা ভাইরাস জাতীয় প্যাথোজেনের সংক্রমণ যদি মহামারীর পর্যায়ে চলে যায় তাহলে সেটা নির্ণয় করা হয় বেসিক রিপ্রোডাকশন নম্বর দিয়ে।এই হিসেব বলে দেয় যদি কোন আক্রান্ত ব্যক্তি অবাধে সামাজিক স্তরে বা কোন গোষ্ঠীর মধ্যে মেলামেশা করেন তাহলে কি পরিমাণে সংক্রমণ সেই গোষ্ঠীতে ছড়িয়ে পড়তে পারে। অনেক বড় মাপ বোঝাতে এই নম্বর ব্যবহার করা হয়।

দ্বিতীয়টি হল এফেক্টটিভ রিপ্রোডাকশন নাম্বার। যেটা অত বড় মাপের নয়। এক্ষেত্রে যদি সামাজিক দূরত্বের বিধি মেনে চলা হয় অথবা দেখা যায় সমাজের একটা বড় অংশের মানুষ ড্রাগের প্রভাবে সেরে উঠছেন বা লোকজনের মধ্যে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ছে। তাহলে যতটা সংক্রমণ ছড়ানোর আশঙ্কা থেকে যায় সেটা মাপা যায় এই এফেক্টিভ রিপ্রোডাকশন নম্বরে। চীনের ক্ষেত্রে আর নট নাম্বার ৪.০ ছাড়িয়ে গেছে। অর্থাৎ স্কেলের বাইরে চলে গেছে নম্বর। মানে সংক্রমণ সেখানে বিধ্বংসী।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *