আমাদের ভারত, ব্যারাকপুর, ৯ ফেব্রুয়ারি: কোথাও তৃণমূলের নেতারা বলে বিরোধীদের দেখে নেবো, তো কোথাও বিরোধী দল বলে মারের বদলা মার। তবে এই ধরণের বিরূপ সম্পর্ক থেকে সরে রাজনৈতিক সৌজন্যতার নজির রাখলো ব্যারাকপুর। আজ মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিনে ব্যারাকপুর প্রশাসনিক ভবনে দেখা গেলো এক রাজনৈতিক
সৌজন্যতাবোধের ছবি।
রাজনৈতিক ভাবে পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূল-বিজেপি একে অপরের বিপরীত দিকে দৌড়াচ্ছে বিরোধী হিসেবে। এছাড়া রাজনৈতিকভাবে তৃণমূল-বিজেপি একে অপরের দিকে কর্মীদের মারধর এমনকি কারোর মৃত্যু হলে একে অপরকে দোষারোপ করছে। তবে আজ ব্যারাকপুর প্রশাসনিক ভবনে পৌরসভা নির্বাচনের মনোনয়ন পত্র জমা দিতে এসে রাজনৈতিক সম্পর্কের সৌজন্যতার ছবি দেখা গেলো তৃণমূল ও বিজেপির মধ্যে। ব্যারাকপুরের বিদায়ী চেয়ারম্যান উত্তম দাস আজ আসেন তার প্রার্থী পদের মনোনয়ন পত্র জমা দিতে। সেই সময় বিজেপি প্রার্থী মিলন আঁশ ও সঞ্জয় যাদবের সাথে বেশ খোশ মেজাজে কথা বলতে ও পরস্পরকে আলিঙ্গন নমস্কার এবং হাসিমুখে একে অপরের সাথে কথা বলতে দেখা গেল। হয়তো রাজনীতিগত ভাবে এটাই সকলের কাছে কাম্য।
এই সম্বন্ধ্যে উত্তম দাস বলেন, “রাজনৈতিক সৌজন্যতাবোধ সকলের মধ্যে থাকা উচিত। বিরোধী না থাকলে তো ভোটই হত না।”
এদিন ব্যারাকপুর মহকুমার সমস্ত পৌর সভার বিজেপি প্রার্থীরা তাদের মনোনয়ন পত্র জমা দিলেন ব্যারাকপুর প্রশাসনিক ভবনে। এদিন প্রশাসনিক ভবনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়। তবে বিজেপি কর্মীদের মধ্যে এদিন তৃণমূলের কর্মীদের থেকে কম উৎসাহিত হতে দেখা গেছে।