আমাদের ভারত, ১০ মার্চ: কোথাও সদর ফটকেই তালা। কোথাও একেবারে স্বাভাবিক পরিস্থিতি। শুক্রবার এসএফআই, ডিএসওর ডাকা ছাত্র ধর্মঘটের দিন দু’রকম ছবি দেখা গেল পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে।
প্রতিদিন বিএড পাঠ্যক্রম ও পরীক্ষার খোঁজ নিতে অনেক পড়ুয়া আসেন বালিগঞ্জের বাবা সাহেব অম্বেদকর এডুকেশন ইউনিভার্সিটিতে। সূত্রের খবর, এদিন এরকম সন্ধানীর সংখ্যা ছিল অপেক্ষাকৃত কম। যদিও প্রশাসনিক এবং পঠনপাঠনের সব কাজ ঠিকমত হয়েছে। উপাচার্য ডঃ সোমা বন্দ্যোপাধ্যায় এই প্রতিবেদককে বলেন, এদিন তাঁদের প্রতিষ্ঠানের পরিস্থিতি ছিল স্বাভাবিক।
হুগলির রানি রাসমণি গ্রিন ইউনিভার্সিটির উপাচার্য ডঃ আশুতোষ ঘোষ জানান, “আমার বিশ্ববিদ্যালয়ে আজ পরীক্ষা আছে। ছাত্র ছাত্রীরা সবাই পরীক্ষা দিচ্ছে। ক্লাসেও উপস্থিতি স্বাভাবিক।”
হেরিটেজ ইন্সটিট্যুট অফ টেকনোলজির অধ্যক্ষ, কল্যাণ ভারতী ট্রাস্টের (ছটি প্রতিষ্ঠানের নিয়ন্ত্রক সংস্থা) সিনিয়র ডিরেক্টর, প্রাক্তন উপাচার্য ডঃ বাসব চৌধুরী এই প্রতিবেদককে বলেন, “আমাদের প্রতিষ্ঠানে পরিস্থিতি এদিন স্বাভাবিক ছিল।”
উচ্চশিক্ষা দফতর সূত্রে খবর, রাজ্যে কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় মিলিয়ে এখনও পর্যন্ত উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে ৫০৩টি। উচ্চশিক্ষা দফতর সূত্রে খবর, এই ৫০৩ টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অধ্যাপক অধ্যাপিকাদের উপস্থিতির হার দুপুরে ১টা পর্যন্ত ৯৬.৬৫ শতাংশ। যা অন্যান্য দিনে তুলনায় অনেকটাই বেশি বলেই দাবি করছেন উচ্চশিক্ষা দফতরের আধিকারিকরা।
পাশাপাশি এই ৫০৩টি উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আধিকারিক ও অশিক্ষক কর্মীদের উপস্থিতির হার দুপুর ১টা পর্যন্ত ৯৫.২২ শতাংশ। ডি এ ইস্যুতে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের ডাকাত ধর্মঘটের প্রভাব রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছিল উচ্চ শিক্ষা দফতরের আধিকারিকরাও। কিন্তু এর প্রভাব উপস্থিতির হার দেখে খুব একটা পড়েনি বলেই মনে করছেন উচ্চশিক্ষা দফতরের আধিকারিকরা। বৃহস্পতিবারই রাজ্যের অর্থ দফতর নির্দেশিকা দিয়ে জানিয়েছিল ধর্মঘটের দিন অনুপস্থিত থাকলে শো কজ করা হবে এবং চাকরিতে ছেদ হবে।

