পার্থ খাঁড়া, আমাদের ভারত, পশ্চিম মেদিনীপুর, ৯ মার্চ: পুরুষ স্বাধীন সমাজে এগিয়ে মহিলারা। বর্তমান দিনে দেশ পরিচালনার পাশাপাশি কর্মক্ষেত্রেও সমানভাবে পুরুষদের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলেছে মহিলারা। কেউ ইঞ্জিনিয়ার, কেউ ডাক্তার, আবার কেউ ট্রেন বা বিমান চালক। সব মিলিয়ে কোনও অংশেই পিছিয়ে নেই মহিলারা। যে রাঁধে সে চুলও বাঁধে, এই প্রবাদ বাক্যের মতো সমাজের নানান প্রতিকূলতাকে জয় করে এগিয়ে চলেছে গ্রাম-শহরের মহিলারা। আন্তর্জাতিক মহিলা দিবসে সকল মহিলাদের পাশাপাশি কর্মক্ষেত্রে সফল মহিলাদের কুর্নিশ জানিয়েছে রেল দফতর।
ট্রেন চালানো, ওভারহেড তারে উঠে কাজ করা, সিগন্যালিং কিংবা প্যানেল বোর্ডে বসে ট্রেন পরিচালনা করা বা যেকোনও ক্ষেত্রে দূরদর্শিতার সঙ্গে কাজ করছেন মহিলারা। ৮ মার্চ ছিল আন্তর্জাতিক মহিলা দিবস। আন্তর্জাতিক মহিলা দিবস উপলক্ষে বিশেষ আয়োজন ছিল দক্ষিণ পূর্ব রেলওয়ে শাখার খড়্গপুর ডিভিশনের হিজলি স্টেশনে।এদিন স্টেশনের সমস্ত কিছুই পরিচালনার দায়িত্বে ছিলেন মহিলা কর্মীরা।
মহিলা দিবসে নারীদের সম্মান এবং কর্ম ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠিত হওয়াকে কুর্নিশ জানিয়েছে রেল কর্তৃপক্ষ। এদিন এক দিনের জন্য স্টেশনের সবকিছুই ছিল মহিলা পরিচালিত। স্টেশন প্রবন্ধক হিসেবে দায়িত্ব সামলেছেন শতাব্দী রায়, স্টেশনের মুখ্য আধিকারিক হিসেবে গীতা কুমারী দাস স্টেশন পরিচালনা করেছেন। এছাড়াও প্যানেল বোর্ড, টিটিই, রেল পুলিশ এমনকি টিকিট কাউন্টারেও ছিলেন মহিলা কর্মীরা। খড়্গপুর স্টেশন অভিমুখে একটি পার্সেল ট্রেন চালিয়ে নিয়ে যান মহিলা পাইলট তনুলেখা পাল, অ্যাসিস্ট্যান্ট লোকো পাইলট তানিয়া বৈতালিক, গার্ডের দায়িত্ব পালন করেছেন দেবশ্রী দাস।
প্রসঙ্গত, মহিলাদের শ্রম এবং তাদের এই চিন্তা-ভাবনাকে কুর্নিশ জানিয়েছেন সমাজের সর্বস্তরের মানুষ। বর্তমান দিনে পুরুষের মতো এগিয়ে চলেছে মহিলারা। সম্মানের সঙ্গে, সকলের সঙ্গে তাল মিলিয়ে কাজ করছেন তারা। সমাজকে বার্তা দিচ্ছেন এগিয়ে আসার।
বেশ কয়েক বছর পিছনে ফিরলেই দেখা যাবে মহিলাদের স্বাধীনতা ছিল না কর্মক্ষেত্রে। তবে বর্তমানে সেই ধারণা মুছে গিয়ে পড়াশোনো এবং কর্ম ক্ষেত্রে এগিয়ে চলেছে মহিলারা। পুরুষতান্ত্রিক সমাজে পরিশ্রম ও দায়বদ্ধতার সঙ্গে কাজ করছেন তারা। তাদেরকে কুর্নিশ জানাতে এই বিশেষ আয়োজন।
এদিন সবুজ পতাকা নেড়ে মহিলাদের দ্বারা পরিচালিত ট্রেনটিকে চালিয়ে নিয়ে যেতে বার্তা দেন খড়্গপুর ডিভিশনের ডিভিশনাল রেলওয়ে ম্যানেজার।
আন্তর্জাতিক মহিলা দিবসে এই আয়োজনকে সাধুবাদ জানিয়েছেন মহিলা কর্মীরা। তবে আজ কোনো অংশে পিছিয়ে নেই মহিলারা। মেয়েরাও যে পারে তা একবার তারা প্রমাণ করলো।