আমাদের ভারত, মেদিনীপুর, ৩ জানুয়ারি: তৃণমূল কর্মীদের হামলায় এক বিজেপি কর্মীর বৃদ্ধ বাবার মৃত্যুর অভিযোগ ঘিরে উত্তেজনা ছড়িয়েছে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার পটাশপুরে। মৃত বিজেপি কর্মীর নাম অমূল্য মণ্ডল(৮০)।পটাশপুর ১নং ব্লকের গোপালপুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার বাসিন্দা। অভিযোগ, ছেলে শঙ্কর মন্ডলকে তৃণমূল কর্মীরা মারধর করার সময় বাধা দিতে যান অমূল্যবাবু। সেই সময় তৃণমূল কর্মীরা তাঁকে ঠেলে ফেলে দিলে তাঁর মৃত্যু হয়। যদিও তৃণমূলের দাবি, স্বাভাবিক মৃত্যু নিয়ে রাজনীতি করছে বিজেপি।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, তিন বছর আগে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন শঙ্কর। গত ১ জানুয়ারি গোপালপুর এলাকায় একটি বড়সড় মিছিলের আয়োজন করেছিল বিজেপি। সেই মিছিলের নেৃতৃত্বে ছিলেন শংকর মণ্ডল। এরপর শনিবার ওই একই এলাকায় মিছিল করে তৃণমূল। অভিযোগ, সেই মিছিল শঙ্করের বাড়ির পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় কয়েক জন তৃণমূল কর্মী লাঠিসোঁটা নিয়ে তাঁর বাড়িতে চড়াও হয়। শঙ্করকে বাড়ি থেকে টেনে এনে বেধড়ক মারধর করা হয় বলে অভিযোগ।
ছেলেকে মারধর করছে দেখে তাকে বাঁচাতে এগিয়ে আসেন অমূল্যবাবু। অভিযোগ, সেই সময় বৃদ্ধকে ঠেলে ফেলে দেয় হামলাকারীরা। এর পরেই অমূল্যবাবু জ্ঞান হারালে তাঁকে ফেলে পালিয়ে যায় অভিযুক্তরা। আশঙ্কাজনক অবস্থায় স্থানীয় তাঁকে গোপালপুর গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যায়। রবিবার ভোরে তাঁর মৃত্যু হয়। ময়নাতদন্তের পর রবিবার সকালে মৃতদেহ বাড়িতে নিয়ে আসা হয়।
এই ঘটনাকে ঘিরে উত্তেজনা ছড়িয়েছে এলাকায়। মৃতের বৌমা তথা শঙ্করের স্ত্রী বলেন, “কিঙ্কর হাজরা নামে স্থানীয় এক তৃণমূল নেতা দলবল নিয়ে আমাদের বাড়িতে হামলা চালান। আমার স্বামীকে মারধরের পাশাপাশি শ্বশুরকে ঠেলে ফেলে দেন।”
বিজেপির কাঁথি সাংগঠনিক জেলার সভাপতি অনুপকুমার চক্রবর্তীর বক্তব্য, তৃণমূল যে ভাবে এলাকায় সন্ত্রাস করতে চাইছে, তা কিছুতেই মেনে নেওয়া যায় না। জেলাজুড়ে সন্ত্রাস করে বিজেপিকে দমানো যাবে না। তিনি জানান, এই ঘটনার প্রতিবাদে তাঁরা বড়সড় আন্দোলনে নামবেন।
যদিও হামলার ঘটনা অস্বীকার করে পটাশপুর-১ নং ব্লকের তৃণমূল সভাপতি পীষূষ পণ্ডার দাবি, ‘‘ওই বৃদ্ধ ৫ বছর শয্যাশায়ী। রবিবার ভোরে তাঁর মৃত্যু হয়েছে। তাকে নিয়ে রাজনীতি করছে বিজেপি।