পার্থ খাঁড়া, আমাদের ভারত, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২৩ অক্টোবর: পশ্চিম মেদিনীপুরের মেদিনীপুর শহরের ভেতরে থাকা বিধাননগরের জনবহুল এলাকায় তেলের মিলে আগুন লাগার ঘটনায় চাঞ্চল্য। মিলের ওপর তলায় বসবাস করতেন অনেকেই। রবিবার সন্ধ্যায় আগুন ছড়িয়ে পড়ায় ঘর ছেড়ে চলে যান তারা। আতঙ্ক তৈরি হয় পাশাপাশি বাড়িগুলিতেও। দমকলের তিনটি ইঞ্জিনের আড়াই ঘন্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, “জনবহুল এলাকার ভেতরে নিরাপত্তা ছাড়াই তেলের মিল চালানো নিয়ে আগেই অভিযোগ করেছিলাম। এই ঘটনা আরো আতঙ্কিত করলো আমাদের।” তবে কি কারণে আগুন লেগেছিল দমকল তা পরিষ্কার ভাবে বলতে পারেনি।
মেদিনীপুর শহরের একেবারে প্রাণ কেন্দ্র সার্কিট হাউস সংলগ্ন বিধাননগর এলাকায় এই আগুন লাগার ঘটনাটি ঘটে। স্থানীয় এক ব্যবসায়ী মন্টু সিনহার হার্ডওয়ার্স ও সর্ষের তেলের ব্যবসা রয়েছে। দোতলা বাড়ির ওপর তলাতে অনেকেই থাকতেন। নিচের তলায় হার্ডওয়ার্সের সামগ্রী সহ তেল প্যাকিংয়ের গোডাউন। রবিবার সন্ধ্যায় সেই তেল প্যাকিংয়ের গোডাউনে কোনো ভাবে
আগুন লেগে যায়। আগুনের শিখা ও ধোঁয়া ওপর পর্যন্ত পৌঁছে গেলে চিৎকার চেঁচামেচিতে উপরে থাকা লোকজন বাইরে বেরিয়ে আসে। প্রতিবেশীরাই খবর দেয় দমকলে। প্রথমে দমকলের একটি ইঞ্জিন আসলেও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে না আসায় পরে আরও দুটি ইঞ্জিন নিয়ে আসা হয়। সন্ধে ছ’টা থেকে রাত আটটা পর্যন্ত চেষ্টা চালিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।
দমকলের স্টেশন অফিসার চিন্ময় বক্সী বলেন, “কি কারণে আগুন লেগেছিল তা পরিষ্কার হয়নি। তবে ভেতরে প্রচুর পরিমাণে কার্টুন, গোডাউনে আরো অন্যান্য কাগজের সামগ্রী, প্লাস্টিকের বোতল, প্যাকিং সামগ্রী থাকায় তাতে আগুন লেগে ছড়িয়ে গিয়েছিল।”
এই ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়েছিল স্থানীয়দের মধ্যে। মিলের পাশের বাড়ির বাসিন্দা মাণিক জানা বলেন, “বাইরে থেকে প্রচুর তেলের গাড়ি আসে। এখানে খালি ও ভর্তি হয়। এখানকার এই পদ্ধতি নিয়ে এলাকার নিরাপত্তা নিয়ে আমাদের সংশয় হয়েছিল আগেই। প্রতিবাদ করেছিলাম। তাতেও কোনো পরিবর্তন হয়নি পরিস্থিতির।”
তবে মিলের মালিক মিন্টু সিনহা হার্ডওয়ার্স প্রসঙ্গে বললেও তেলের গোডাউন করা বিষয়ে প্রশ্ন করতেই অস্বস্তিতে পড়েন। নিজের নাম না বলেই বেরিয়ে যান। তিনি বলেন, “আমার হার্ডওয়ার্সের বিভিন্ন সামগ্রী ও প্যাকিংয়ের জিনিসপত্র ছিল। বাচ্চারা আসপাশে বাজি পোড়াচ্ছিল। সেই বাজি ছিটকে ভেতরে গিয়ে পড়ে গিয়ে হয়তো এই ঘটনা ঘটেছে। তবে ভেতরে শেষ প্রান্তে তেলের প্যাকিং হয়।”