আমাদের ভারত, ২৯ জানুয়ারি: সব চেষ্টা ব্যর্থ করে পুলিশ কর্মীর গুলিতে জখম হওয়া ওড়িশার স্বাস্থ্য মন্ত্রী মারা গেলেন। ভুবনেশ্বরের বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি। সেখানেই রবিবার সন্ধ্যায় মৃত্যু হয় তাঁর।রবিবার দুপুরে ওড়িশার ঝারসুগুড়া জেলার ব্রজরাজ নগরে গান্ধীচকের কাছে এক পুলিশ কর্মীর ছোড়া গুলিতে গুরুতর জখম হন ওড়িশার স্বাস্থ্য মন্ত্রী নবকিশোর দাস।
অভিযোগ, রবিবার স্বাস্থ্য মন্ত্রীকে লক্ষ্য করে গুড়ি ছোড়েন ওড়িশার এক অ্যাসিস্ট্যান্ট সাব-ইন্সপেক্টর। পরপর দুবার গুলি করা হয়েছিল স্বাস্থ্য মন্ত্রী নব কিশোরের বুকে। গুলি লাগার পরে মন্ত্রীকে গুরুতর আহত অবস্থায় ভর্তি করানো হয় নিকটবর্তী বেসরকারি হাসপাতালে। এরপরই ঝারসুঘুড়া বিমানবন্দরে নিয়ে যাওয়া হয় নবকিশোরকে। সেখান থেকে বিমানে ভুবনেশ্বরে এক বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাঁকে।
হাসপাতালের তরফে বিবৃতি দিয়ে সন্ধ্যায় জানানো হয়, মন্ত্রীকে দ্রুত জরুরি চিকিৎসা দেওয়া হয়, তার ক্ষতস্থানে অস্ত্র প্রচারের পাশাপাশি তাকে আপৎকালীন আইসিইউ পরিষেবা দেওয়া হয়েছিল কিন্তু কোনো চেষ্টাই শেষ পর্যন্ত কাজে লাগেনি।
সূত্রের খবর, বুকে লাগা গুলি মন্ত্রীর হৃদযন্ত্রে আঘাত করেছিল। যার ফলে হৃৎপিণ্ডের অভ্যন্তরে রক্তক্ষরণ শুরু হয়। তারপরও কৃত্রিম ভাবে হৃদযন্ত্রটিকে সচল রাখার ব্যবস্থা করেছিলেন হাসপাতালের চিকিৎসক দল। কিন্তু স্বাস্থ্য মন্ত্রীর আঘাত গুরুতর হওয়ায় তাকে শেষ পর্যন্ত বাঁচানো যায়নি। বিকেলের দিকে দ্রুত তার অবস্থার অবনতি হতে শুরু করে। হাসপাতাল সূত্রে জানানো হয় সন্ধ্যায় মৃত্যু হয়েছে ওড়িশা স্বাস্থ্য মন্ত্রী নবকিশোরেরর।
রবিবার দুপুর একটা নাগাদ এই ঘটনাটি ঘটে। ওড়িশার স্বাস্থ্যমন্ত্রী সেই সময় একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে যাচ্ছিলেন, সেই সময় তাকে লক্ষ্য করে গোপাল দাস নামে অ্যাসিস্ট্যান্ট পুলিশ সাব ইন্সপেক্টর গুলি করে। স্থানীয় মানুষই তাকে ধরে ফেলে। পরে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। কিন্তু কি কারণে এই হামলা তা স্পষ্ট হয়নি।
রবিবার নবকিশোরের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়েক। তিনি বলেন, নবকিশোরের মৃত্যুতে ওড়িশা প্রশাসনের বড় ক্ষতি হল। উনি শুধু সরকারের নয় তার দলের সম্পদ ছিলেন। মানুষের কল্যাণে স্বাস্থ্য দপ্তরের তরফে বহু পদক্ষেপ করেছেন তিনি, তাতে রাজ্যের মানুষও উপকৃত হয়েছেন। এই ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী।