আশিস মণ্ডল, রামপুরহাট, ১১ এপ্রিল : পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে সিপিএম কর্মী সমর্থকদের তৃণমূল করতে চাপ দিচ্ছেন থানার ওসি। এমনি মারাত্মক অভিযোগ তুলে বীরভূমের ময়ূরেশ্বর থানার সামনে বিক্ষোভ দেখালো সিপিএম। এরপর ছয় দফা দাবি সম্বলিত স্মারকলিপি জমা দেওয়া হয় ময়ূরেশ্বর সার্কেল ইন্সপেক্টরের হাতে।
সিপিএমের অভিযোগ, বিভিন্ন ঘটনায় সিপিএম কর্মীদের থানায় ডেকে পাঠিয়ে তৃণমূল করার জন্য চাপ দেওয়া হয়েছে। কোনও কোনও ক্ষেত্রে গ্রামে গিয়েও একই ভাবে চাপ দিচ্ছেন ওসি পার্থ কুমার ঘোষ। প্রতিবাদে এদিন থানার গেটের সামনে বিক্ষোভ দেখায় সিপিএম। দলের জেলা কমিটির সদস্য সঞ্জিব বর্মন বলেন, “থানার ওসি ময়ূরেশ্বর ২ নম্বর ব্লক এলাকায় তৃণমূলের নেতা হিসাবে কাজ করে চলেছেন। কখনও থানায় ডেকে আবার কখনও তৃণমূল নেতাদের সঙ্গে নিয়ে গ্রামে গিয়ে সিপিএম কর্মী সমর্থকদের হুমকি দিয়ে বলছেন, তৃণমূল করতে হবে। আমি (ওসি) যতদিন এই থানায় রয়েছি ততদিন দিদির দল করতে হবে। অন্য কোনও দল করা যাবে না। এরই বিরুদ্ধে আমাদের বিক্ষোভ।”
দাসপলসা গ্রাম পঞ্চায়েতের দুনা গ্রামের বাসিন্দা সিপিএম কর্মী আসারুল শেখ বলেন, “আমাদের গ্রামে একটা ঝামেলা হয়েছিল। এরপরেই পুলিশ আমাদের থানায় ডেকে বলছে, এখানে তৃণমূল করতে হবে। আমি যতদিন আছি অন্যদল করা যাবে না।”
মন্টু শেখ নামে আরেক সিপিএম কর্মী বলেন, “আমরা গ্রামে পার্টি অফিসে পিকনিক করছিলাম। ওসি গিয়ে বলেন, এখানে পিকনিক করা চলবে না। পঞ্চায়েত নির্বাচনে তৃণমূল করতে হবে। তৃণমূল নেতাদের সঙ্গে নিয়ে এভাবেই হুমকি দিচ্ছেন পুলিশ অফিসার।”
যদিও সিপিএমের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ওসি পার্থ কুমার ঘোষ। সিপিএম ওসির বিরুদ্ধে তোপ দাগলেও ভুয়সী প্রশংসা করেছেন তৃণমূলের ময়ূরেশ্বর অঞ্চল সভাপতি মুর্শেদ শেখ ওরফে মোশারফ। তিনি বলেন, “ওসি খুব ভালো কাজ করছেন। বিরোধীদের সংগঠন নেই তাই বাজার গরম করতে বিক্ষোভ দেখাচ্ছে।”