আমাদের ভারত, ১৫ আগস্ট: মোটা হয়ে যাচ্ছি। এই কথাটা প্রায় সব বাড়িতেই একটা দৈনন্দিন সমস্যায় পরিণত হয়েছে। আজ ৭৯তম স্বাধীনতা দিবসের দিন লালকেল্লার মঞ্চ থেকে এই স্থূলতার সমস্যার বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করার আহ্বান জানিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী। দেশবাসীকে তাঁর পরামর্শ, স্থূলতা কমাতে তেল কম খান। ভারতের ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে শক্তিশালী করতে খেলাধূলার অবদান অনস্বীকার্য। উন্নত দেশ হয়ে উঠতে সাহায্য করতে পারে খেলাধূলা। স্বাধীনতা দিবসের বক্তব্যে লালকেল্লায় দাঁড়িয়ে প্রধানমন্ত্রী নতুন ক্রীড়া নীতির মূল লক্ষ্য তুলে ধরেন। তাঁর মতে, নতুন ক্রীড়া নীতিতে তৃণমূল স্তর থেকে অলিম্পিক পর্যন্ত খেলাধূলার কাঠামো শক্তিশালী হবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ক্রীড়া সংস্কৃতিতে ফিটনেস অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ। স্থূলতা মোকাবিলায় সাধারণ মানুষকে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করতে বলেন তিনি। মোদীর কথায়, ফিটনেস এবং খেলাধূলা নিয়ে কথা বলার আগে আমি স্থুলতা নিয়ে কথা বলতে চাই। গোটা দেশে এটা একটা বিরাট সমস্যা। ভবিষ্যতে প্রতি তিন জনের একজন স্থূলতায় আক্রান্ত হবেন। স্থূলতার বিরুদ্ধে যুদ্ধে তেল খাওয়ার পরিমাণ কমিয়ে দেওয়া উচিত বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
অন্যদিকে মোদী বলেন, খেলাধূলা হলো উন্নতির অন্যতম প্রয়োজনীয় বিষয়। একটা সময় ছিল যখন ছেলে- মেয়েরা খেলতে গেলে বাবা-মায়েরা বকাবকি করতেন। আমি খুশি যে সময়টা বদলে গিয়েছে। এখন ছেলে- মেয়েরা খেলাধূলা করলে অভিভাবকরা খুশি হন। দেশের উন্নতির পক্ষে এটা ভালো দিক।
২০০১ সালের ক্রীড়া নীতি বদলে সম্প্রতি নতুন ক্রীড়ানীতি এসেছে। এর লক্ষ্য সকল খেলাধূলার শক্তিশালী পরিকাঠামো ও সঠিক প্রশাসন নিশ্চিত করা, স্বাস্থ্যকর প্রতিযোগিতার দিকগুলি খেয়াল রাখা হবে। মোদী আরো বলেন, খেলাধূলার উন্নতির স্বার্থে কয়েক দশক পর নতুন ক্রীড়ানীতি এনেছি আমরা। তৃণমূল স্তর থেকে অলিম্পিক পর্যন্ত খেলাধূলার উন্নতি হবে এর সাহায্যে। দেশের প্রতিটা কোণে যাতে কোচিং ফিটনেস পরিকাঠামো থাকে সেটা সুনিশ্চিত করতে চাই।