জে মাহাতো, আমাদের ভারত, পশ্চিম মেদিনীপুর, ৯ আগস্ট: র্যাপিড এন্টিজেন টেস্ট শুরু হওয়ার পর সারাদেশের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলাতেও করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। যদিও সত্তর শতাংশের বেশি মানুষ এই জেলায় সুস্থ হয়ে উঠেছেন। সংক্রমণের মাত্রা বাড়তে থাকায় উপযুক্ত পরিবেশ থাকলে বাড়িতে অথবা কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে উপসর্গহীনদের চিকিৎসা ও পর্যবেক্ষণে রাখার সিদ্ধান্তে সীলমোহর দেওয়া হলেও স্বল্প উপসর্গ যুক্তদের সেফ হোম বা লেভেল তিন করোনা চিকিৎসা কেন্দ্র গড়ে তোলার ওপর বিশেষ জোর দিয়েছে কেন্দ্র এবং রাজ্য। সেইমতো পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ বিষয়টির উপর গুরুত্ব দিয়ে দ্রুততার সঙ্গে স্বল্প উপসর্গ যুক্তদের জন্য অধিক সংখ্যক করোনা শয্যার ব্যবস্থা করতে উদ্যোগী হয়েছে। লেভেল চার শালবনি হাসপাতালেও ইতিমধ্যে পঞ্চাশটি শয্যা বাড়ানো হয়েছে। এই হাসপাতালে নানারকম উপসর্গযুক্ত আশঙ্কাজনক করোনা রোগীদের চিকিৎসা করা হয়।

জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক নিমাই চন্দ্র মন্ডল জানিয়েছেন, শালবনি হাসপাতালে দুশোটি সজ্জার ব্যবস্থা করা হয়েছে। মেদিনীপুর শহরের উপকণ্ঠে অবস্থিত আয়ুশ করোনা হাসপাতলে আজ রবিবার থেকে আরো তিরিশটি সজ্জা বাড়িয়ে একশটি করা হয়েছে। এখানে স্বল্প উপসর্গযুক্তদের চিকিৎসা করা হয়। এই আয়ুস হাসপাতলের আরও একটি নতুন ক্যাম্পাস আগামীকাল সোমবার থেকে তাঁতিগেড়িয়ার নারী ও শিশু কল্যাণ দপ্তরের ভেগ্রেন্ট আবাসনে শুরু করা হচ্ছে। এখানেও একশ জন স্বল্প উপসর্গযুক্ত করোনা আক্রান্তদের চিকিৎসা করা হবে বলে জেলা স্বাস্থ্য ভবন সূত্রে জানাগেছে।
জেলার উপ মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সৌম্যশঙ্কর সারেঙ্গী জানিয়েছেন, ১৫ আগস্ট থেকে ঘাটাল মহকুমা হাসপাতালে ত্রিশটি এবং ২০ আগস্ট থেকে খড়্গপুর মহকুমা হাসপাতলে পঞ্চাশটি করোনা শয্যার ব্যবস্থা করা হবে। সব মিলিয়ে জেলায় তিনশো থেকে বাড়িয়ে পাঁচশো কুড়িটি করোনা শয্যা করা হচ্ছে।

