আমাদের ভারত,১৬ ডিসেম্বর:মিছিল করতে গিয়ে বলেছিলেন নাগরিকত্ব আইন এবং নাগরিকপঞ্জি করতে হলে তার লাশের উপর দিয়ে যেতে হবে। আর তারপরই সন্ধ্যা বেলায় ন্যাশনাল পপুলেশন রেজিস্টার বা এনপিআরের এর সব রকম কাজ বন্ধের করার সিদ্ধান্ত নিলেন রাজ্য সরকার। পরবর্তী নির্দেশ না পাওয়া পর্যন্ত সেই কাজ বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে। আর বলাই বাহুল্য এই সিদ্ধান্তের ফলে কেন্দ্র-রাজ্য সংঘাত আরো তীব্র হলো।
দেশের জনগণনা হয় দশ বছর অন্তর তার আগে তৈরি করা হয় এনপিআর। শেষ জনগণনা হয়েছিল ২০১১ সালে। তারপর আবার জনগণনার বছর ২০২১। এনপিআর হওয়ার কথা ২০২০ তে। আর এনপিআরের কাজের জন্যই রাজ্য জুড়ে চলছিল প্রশিক্ষণ। এখন সেই প্রশিক্ষণ কাজের বন্ধ করার নির্দেশ দিল রাজ্য সরকার।
সমস্ত জেলাশাসক, পুরসভা সহ সংশ্লিষ্ট বিভাগের সব জায়গায় এই নির্দেশিকা জারি করে বলা হয়েছে, পশ্চিমবঙ্গে এনপিআর তৈরি বা আপডেট করার সব কাজ করে দেওয়া হচ্ছে। রাজ্য সরকারের কাছ থেকে আগাম ছাড়পত্র না পেলে এই সংক্রান্ত কোন কাজ করা যাবে না।
এই সিদ্ধান্ত থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্পষ্ট করে দিয়েছেন এতদিন রাজনীতির মঞ্চ থেকে যে বিরোধিতা করে আসছিলেন এবার তা প্রশাসনিকভাবে ও পদক্ষেপ গ্রহণ করলেন।
এর আগে বেশ কয়েকটি সংগঠন এনপিআর করা নিয়ে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন। তাদের অভিযোগ ছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দ্বিচারিতা করছেন। সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন ও এন সি আরের বিরোধিতা করলেও এনপিআরের এর কাজ চালাচ্ছে।
এদিকে সোমবার দুপুরে কলকাতায় নাগরিকত্ব আইন এবং এন আর সির বিরুদ্ধে পথে নামে মমতা। মিছিলের শেষে কেন্দ্র তথা বিজেপিকে আক্রমণ করে হুঁশিয়ারি দেন রাজ্যে কোনোভাবেই এনআরসি করতে দেবেন না। আর তারপরেই এই সিদ্ধান্ত রাজ্য সরকারের।