আমাদের ভারত, ১৭ ফেব্রুয়ারি: সন্দেশখালির ঘটনার রাজ্যবাসীর উদ্বেগকে কোন জায়গায় পৌঁছে দিয়েছে সেটা বোঝাতে নিজের মায়ের কথা বললেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। শনিবার হাসপাতাল থেকে ছুটি পেয়ে দিল্লি উড়ে যাওয়ার পথে বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে নিজের মায়ের প্রসঙ্গ তোলেন তিনি। সুকান্ত মজুমদার বলেন, এখন মা আমাকে ফোন করে আমার কুশলের সঙ্গে সন্দেশখালির মানুষের কুশলের কথাও জানতে চান।
দিল্লিতে বিজেপির রাষ্ট্রীয় অধিবেশন চলছে, কিন্তু অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি থাকায় অধিবেশনে প্রথম দু’দিন যোগ দিতে পারেননি বিজেপির রাজ্য সভাপতি। কিন্তু রবিবার শেষ দিন অধিবেশনে যোগ দিতে বিকেলে দমদম বিমানবন্দর থেকে দিল্লিতে উড়ে যান তিনি। তার আগে বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে সুকান্ত মজুমদার বলেন, আমার পরিবার অরাজনৈতিক। আমি পড়াশোনা করে অধ্যাপক হয়েছিলাম। তারপর রাজনীতিতে যোগ দিয়েছি। রাজনীতিতে যোগদানের পর থেকে মা রোজ ফোন করে দুটো কথা জিজ্ঞেস করে, খেয়েছিস বাবা? ভালো আছিস তো? এই দুটো প্রশ্নের বাইরে তিনি কোনো দিন কিছু জিজ্ঞাসা করেননি। কিন্তু আমার মায়ের মত মহিলাও এখন জিজ্ঞাসা করছেন সন্দেশখালি কেমন আছে?”
সুকান্তবাবু বলেন, শারীরিক নিগ্রহ ছেড়ে দিন, আশা কর্মী, অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী হলে তৃণমূলের মিছিলে যেতে হবে, নইলে চাকরি থাকবে না। এই যে নির্যাতন, এটাও মানসিক নির্যাতনের মধ্যে পড়ে।
তিনি বলেন, “১৪৪ ধারা বলে আমাকে যেতে দেওয়া হল না। ওদিকে তৃণমূল কংগ্রেসের লোকেরা ঘুরে বেড়াচ্ছে ১৪৪ ধারার মধ্যে। তারা গিয়ে মানুষকে ভয় দেখাচ্ছে যেনো মানুষ অত্যাচারের কথা না বলে।”
সুকান্ত মজুমদার জানান, দিল্লি সফরে গিয়ে তিনি অবশ্যই সন্দেশখালি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী ও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সঙ্গে কথা বলবেন।

