“নো ভোট টু বিজেপি কারা করেছিল সেটা এখন পরিস্কার,” বাম তৃণমূলের গোপন বোঝাপড়ার অভিযোগ সুকান্তর

আমাদের ভারত, ১০ মার্চ: বামেদের সঙ্গে তৃণমূলের বোঝাপড়ার অভিযোগ তুলে সরব হলেন সুকান্ত মজুমদার। তাঁর কথায় কারা নো ভোট টু বিজেপি করেছিল ২০২১-এ এখন সব পরিষ্কার বোঝা যাচ্ছে।

পঞ্চায়েত ভোটের আগে বাম তৃণমূল জোট নিয়ে বিস্ফোরক অভিযোগ করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তাঁর অভিযোগ, আজ স্বাস্থ্য ভবনে বিজেপির মহিলা ও যুব মোর্চার অভিযান ছিল, কিন্তু বিজেপির সেই কর্মসূচিকে পুলিশ প্রাণপনে আটকে দিতে ব্যস্ত ছিল। এমনকি ওই অভিযানে এক পুরুষ পুলিশ কর্মীর হাতে আক্রান্ত হয়েছেন মহিলা মোর্চার নেত্রী তনুজা চক্রবর্তী বলে অভিযোগ করেছেন তিনি। কিন্তু অন্যদিকে শিক্ষায় দুর্নীতির অভিযোগে বাম ছাত্র সংগঠন এসএফআইয়ের বিধানসভা অভিযানকে বিধানসভা গেট পর্যন্ত পৌঁছে যেতে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ বিজেপি নেতার। ইচ্ছে করেই এই কাজ তৃণমূল সরকারের পুলিশ করেছে বলে দাবি সুকান্ত মজুমদারের। তাঁর কথায় এর থেকেই প্রমাণ হয়ে গেছে তৃণমূলের সাথে বামেদের গোপন বোঝাপড়া রয়েছে।

সুকান্ত মজুমদার বলেন, “বিজেপির অভিযান রুখে দিতে পুলিশ ব্যস্ত ছিল। আর এসএফআইয়ের আন্দোলন বিধানসভার গেট অব্দি পৌঁছে দেওয়া হল। আমরা ভেবেছিলাম বিমানবাবুর চেয়ার অব্দি পৌঁছে দেওয়া হবে। কারণ ওখানে একটা বোঝাপড়া চলছে। এতেই বোঝা যাচ্ছে কে কার দিকে আছে? জোট বলুন বা ঘোট আগামী দিনে কি হবে স্পষ্ট হচ্ছে। কারা নো ভোট টু বিজেপি করেছিল ২০২১-এ এখন সব পরিষ্কার বোঝা যাচ্ছে। সবটাই স্বচ্ছ জলের মতো পরিষ্কার।”

অ্যাডিনো ভাইরাসের প্রকোপে পরপর শিশু মৃত্যুর ঘটনায় বিজেপির মহিলা মোর্চা ও যুব মোর্চা স্বাস্থ্য ভবন অভিযান ঘিরে কুরুক্ষেত্র হয়ে ওঠে করুণাময় চত্বর। পুলিশের সঙ্গে খন্ড যুদ্ধে জড়ান বিজেপি নেতা কর্মীরা। শুক্রবার দুপুরে করুণাময়ীতে জমায়েত করেছিল বিজেপি নেতা কর্মীরা। দুপুর আড়াইটে নাগাদ করুণাময়ী মোড় থেকে শুরু হয় মিছিল। তারপরেই পুলিশ আটকে দেয় সেই মিছিল। একটি গাড়ি করে বিজেপি কর্মীরা করুণাময়ী মোড়ে পৌছতেই গাড়িতে উঠে পড়ে পুলিশ। বিধাননগর দক্ষিণ থানার পুলিশ বহু বিজেপি কর্মীকে গ্রেফতার করে। কিছুক্ষণ পর লোহাপুর মোড় থেকে ইন্দ্রনীল খান, তনুজা চক্রবর্তী, অগ্নিমিত্রা পালের নেতৃত্বে মিছিল শুরু হয়। বেনফিশ মোড়ে পৌঁছানোর আগেই সেই মিছিল আটকে যায়। পুলিশ ও বিজেপি কর্মী দু’পক্ষের মধ্যে তুলকালাম খন্ড যুদ্ধ বেধে যায়।

অন্যদিকে শিক্ষায় দুর্নীতি সহ বিভিন্ন ইস্যুতে শুক্রবার বিধানসভা অভিযানের ডাক দেয় এসএফআই। কিন্তু পুলিশ তাতে অনুমতি দেয়নি বরং মিছিল আটকানোর সবরকম প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছিল। তবে পুলিশের নজর এড়িয়ে বিধানসভার মেইন গেটের বদলে পশ্চিম দিকের গেটে পৌঁছে যায় একদল এসএফআই নেতা কর্মীরা। সেখানে পুলিশের সংখ্যা কম ছিল। রাজ্য সম্পাদক সৃজন ভট্টাচার্যের নেতৃত্বে কয়জন বিধানসভার গেটে চড়ে বসেছিলেন।

অন্যদিকে হাওড়া স্টেশন থেকে মিছিল বের হতেই এসএফআই নেতা ও কর্মীদের একাংশকে গ্রেফতার করে হাওড়া সিটি পুলিশ। আরেক দিকে পুলিশের ব্যারিকেড উপেক্ষা করে শিয়ালদা স্টেশন থেকে মিছিল শুরু করেছিলে এসএফআই। শিয়ালদা কোর্টের সামনে মিছিল আটকানোর চেষ্টা করে পুলিশ। আটক করা হয় কয়েকজনকে তবু শিয়ালদা ব্রিজ হয়ে এমজি রোড, সেন্ট্রাল এভিনিউ ধরে এগোতে থাকে মিছিল। মুরলিধর সেন রোড পেরিয়ে যাওয়ার পরে সৃজন ভট্টাচার্যদের গ্রেফতারের খবর পৌঁছায়, এরপরই সেখানে মিছিল থামিয়ে দেয় প্রতিকুর রহমানরা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *