আমাদের ভারত, ২২ নভেম্বর: বিশ্ব বঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনের মঞ্চেই ভারতের প্রাক্তন ক্রিকেট অধিনায়ক সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়কে বাংলার ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। আজ এই বিষয়ে বলতে গিয়ে সুকান্ত মজুমদার বলেছেন, বিজেপির দেখানো পথই তৃণমূল কংগ্রেস অনুসরণ করেছে। একই সঙ্গে কটাক্ষ করে সুকান্ত মজুমদার বলেছেন, ব্রান্ড অ্যাম্বাসেডর হয়ে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় অন্য রাজ্যে গিয়ে কী প্রচার করবেন? তিনি কী বলবেন? তার রাজ্যের শিল্পমন্ত্রী, খাদ্যমন্ত্রী সবাই জেলে।
এত বছর পর শাহরুখ খানকে সরিয়ে সৌরভকে রাজ্যের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর করা হয়েছে। অন্যদিক বুধবার দেখা গেছে, শাহরুখ খান বিজেপি সাংসদ গৌতম গম্ভীরকে কেকেআর- এর মেন্টর করে এনেছেন। এই দুই বিষয়ের মধ্যে কি কোনো হিসেবে লুকিয়ে আছে? সাংবাদিকদের এই প্রশ্নের উত্তরে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, “প্রথম কথা, বিজেপির দেখানো পথ তৃণমূল কংগ্রেস অনুসরণ করছে। সৌরভ গাঙ্গুলিকে আমরা ত্রিপুরার ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর অনেক আগেই বানিয়েছি। সেই সময় আমি মিডিয়াকে বলেছিলাম এখনও সময় আছে, সৌরভ গাঙ্গুলিকে কলকাতার শেরিফ করা হোক।”
তা্র দাবি, “আমার কাছে খবর, মুখ্যমন্ত্রী সৌরভ গাঙ্গুলিকে শেরিফ করার প্ল্যানেও ছিলেন, কিন্তু যেহেতু সুকান্ত মজুমদার বলেছেন তাই ওটা করা যাবে না। অতএব তাকে ঘুরিয়ে ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর করা হলো।” সুকান্ত মজুমদারের কথায়, এটা অনেকটা গাধা জল খায়, কিন্তু ঘোলা করে খায় সেই রকম। সুকান্ত মজুমদার বলেন, সৌরভ গাঙ্গুলিকে অনেক আগেই পশ্চিমবঙ্গের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর করতে হতো।
অন্যদিকে বিজেপির রাজ্য সভাপতি কটাক্ষের সুরে প্রশ্ন তুলেছেন, “কিন্তু এখন সৌরভ গাঙ্গুলি ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হয়ে অন্য রাজ্যে গিয়ে কী বলবেন? আমার শিল্পমন্ত্রী জেলে, আমার খাদ্যমন্ত্রী জেলে। আমার পশ্চিমবঙ্গের উদীয়মান নেতা যাকে কাকু বলেন তিনি জেলে যাবেন যাবেন করছেন। এইগুলো কি সৌরভ প্রচার করবেন?” সুকান্ত মজুমদারের কথায় ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হলেও রাজ্যের হয়ে সৌরভ গাঙ্গুলির কাছে প্রচার করার মত কিছুই নেই।

