সাথী দাস, আমাদের ভারত, পুরুলিয়া, ৭ আগস্ট: সাপ্তাহিক নয়, টানা ১৫ দিনের লকডাউনের দাবি উঠল পুরুলিয়ায়। সোচ্চার হলেন সাধারণ মানুষের সঙ্গে বিধায়কও।
পুরুলিয়া জেলা জুড়ে হু হু করে বাড়ছে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা। পুরুলিয়া, রঘুনাথপুর এবং ঝালদা পুর এলাকায় সংক্রমণের হার গতি পেয়েছে। ঝালদা ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্য আধিকারিক আক্রান্ত হন করোনায়। তাঁর সংস্পর্শে আসা দুই স্বাস্থ্য কর্মী ও বেশ কয়েকজন পুলিশ কর্মীর রিপোর্ট এসেছে পজিটিভ। এই নিয়ে ঝালদা পৌর এলাকার বাসিন্দা, ঝালদা ব্লক স্বাস্থ্য কেন্দ্রের আধিকারিক ও ঝালদা পুলিশ কর্মী সহ মোট ১৫ জন আক্রান্ত। এলাকাগুলি কন্টেনমেন্ট করে জীবাণুমুক্ত করা হয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে। নতুন করে আরও তিন জন আক্রান্ত হন। এঁরা আক্রান্ত স্বাস্থ্য আধিকারিকের সংস্পর্শে এসেছিলেন। প্রাইভেট ক্লিনিকের মালিক সহ কর্মচারী আক্রান্ত হন। আর এতেই আতঙ্ক ছড়িয়েছে ঝালদায়।
ঝালদার বাসিন্দা সঞ্জয় সিং বলেন, ঝালদা এলাকায় যে পরিমাণে বাড়ছে আক্রান্ত তাতে আমরা আতঙ্কিত। কারণ এখানে প্রথমে ঝালদা ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক আক্রান্ত হয় আর উনি ঝালদা শহরের বেশ কয়েকটি ওষুধ দোকানে প্রাইভেট প্র্যাক্টিস করেন। তাই, আমাদের দাবি এই কয়েকদিনে তিনি কতগুলো রোগী দেখেছেন তাঁদের সঠিক ভাবে চিহ্নিত করা। তা না হলে আরও বিপদের মুখে পড়ব আমরা। এই অবস্থায় শুধু কন্টেনমেন্ট জোন ঘোষণা করলেই হবে না, সেই পরিবারগুলির দায়িত্ব নিতে হবে প্রশাসনকে। তাদের নিত্য প্রয়জোনীয় সামগ্রী থেকে পানিও জল সরবরাহ করতে হবে প্রশাসনকে।
সাপ্তাহিক লকডাউন নয়, অন্তত লম্বা লকডাউন করতে হবে। স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে এই দাবি করেন স্থানীয় বিধায়ক নেপাল মাহাতোও।তিনি বলেন, যেভাবে অতিমারীর দিকে এগোচ্ছে এলাকা তাতে প্রশাসনকে আরও কঠোর হতে হবে। অবিলম্বে কমপক্ষে ১৫ দিন লাগাতার লকডাউন করতে হবে ঝালদা সহ পুরুলিয়ায়।
প্রশাসক প্রদীপ কর্মকার বলেন, এখনই কোনও নতুন করে লকডাউন নয়, রাজ্য সরকারের সাপ্তাহিক লকডাউনই বহাল থাকছে। পরবর্তী রিপোর্ট ও পরিস্থিতি দেখে লকডাউনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।