আমাদের ভারত, ১৩ নভেম্বর: কেবল লালকেল্লা নয়, ধারাবাহিক বিস্ফোরণ ঘটাতে ৩২টি গাড়ি প্রস্তুত রাখা হয়েছিল। দিল্লির লালকেল্লার কাছে হুন্ডাই আই-২০ তে বিস্ফোরণ হয়। তবে শুধু এই গাড়িটিই নয়, তদন্তকারী সংস্থার সূত্রে জানানো হয়েছে, সুজুকি, ড্রেজ্জা, সুইফট ডিজায়ার, ফোর্ড ইকোস্পর্ট এই তিনটি গাড়িতেও বিস্ফোরণ বোঝাই করে পাঠানোর পরিকল্পনা করা হয়েছিল।
সোমবার রাতে আই-২০ গাড়িতে লালকেল্লার কাছে বিস্ফোরণ হয়। সেই ঘটনায় এখনো পর্যন্ত ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত বহু। সে গাড়িটি নিয়ে তদন্ত শুরু হতেই জানা যায়, দেশে ধারাবাহিক বিস্ফোরণের ছক কষা হয়েছিল। সেই তালিকায় ছিল দিল্লির ছয় ছয়টি জায়গা।
বিস্ফোরণে ব্যবহৃত আই টোয়েন্টি গাড়িটি ছাড়াও বাকি তিনটি গাড়িকে চিহ্নিত করা হয়েছে বলে তদন্তকারী সূত্রে খবর। ঐ সূত্র আরো জানিয়েছে, হামলার জন্য এমন গাড়ি ব্যবহার করার পরিকল্পনা করা হয়েছিল যেগুলি বহুবার মালিকানা বা হাতবদল হয়েছে। ফলে গাড়িগুলিকে সহজে চিহ্নিত করা যাবে না।
তদন্তকারী সংস্থার সূত্রের খবর, হুন্ডাই আই টোয়েন্টি, ইকো স্পোর্ট গাড়ি দুটিকে হামলার জন্য উপযোগী করে তোলা হয়েছিল। তদন্তকারীদের একটি সূত্র জানিয়েছে, আই টোয়েন্টি, ইকোস্পোর্ট গাড়ি দুটি সম্পর্কে তথ্য প্রকাশ্যে আসতেই আশঙ্কা করা হচ্ছে যে, আরো ৩২টি গাড়িকে বিস্ফোরণ ঘটনার জন্য উপযোগী করে তোলে হয়েছিল।
অনুমান, হামলা চালানোর জন্য আট জনকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। দু’জন করে এক একটি দল তৈরি করে হামলা চালানোর পরিকল্পনা করা হয়। এই দলগুলি ইম্প্রোভাইজ এক্সক্লুসিভ ডিভাইস নিয়ে আলাদা আলাদাভাবে ভাগ হয়ে বিস্ফোরণ ঘটানোর ছক করেছিল।
চিকিৎসক মুজাম্মিল উমর আদিল শাহিন একযোগে কুড়ি লক্ষ টাকা সংগ্রহ করেছিলেন। তারপর উমরের হাতে সেই টাকা তুলে দেওয়া হয় হামলার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাপনার জন্য। গুরুগাঁও নুহ ও আশপাশের এলাকা থেকে বিস্ফোরক তৈরীর মশলা এন পি কে কেনা হয়েছিল। কেবল তাই নয়, সিগনাল অ্যাপে একটি গ্রুপ তৈরি করেছিল উমর। এই গ্রুপে দুই থেকে চারজন ছিলেন বলে জানতে পেরেছেন তদন্তকারীরা।
বুধবার ফরিদাবাদ পুলিশ ডি এল ১০ সি কে ০৪৫৮ নম্বরের একটি গাড়ি বাজেয়াপ্ত করেছিল। সন্দেহ করা হচ্ছে সেটি দিল্লি বিস্ফোরণ কান্ডের মূল কান্ডারী চিকিৎসক উমরের গাড়ি।

