স্বস্তি মিলল না! জাতীয় সঙ্গীত অবমাননার মামলায় মমতার আবেদন খারিজ করে দিল বম্বে হাইকোর্ট

আমাদের ভারত, ২৯ মার্চ: জাতীয় সঙ্গীত অবমাননা মামলায় স্বস্তি পেলেন না পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নিম্ন আদালতের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে তিনি উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন‌ সে নির্দেশে হস্তক্ষেপ করেননি বোম্বে হাইকোর্ট। আদালতের বিচারপতি অমিত বরকরের সিঙ্গেল বেঞ্চ বুধবার মমতার আবেদন খারিজ করে দিয়েছে।

চলতি মাসেই নিম্ন আদালতের নির্দেশের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আবেদন করেছিলেন মমতা। গত ১২ জানুয়ারি জাতীয় সঙ্গীত অবমাননা মামলায় মুম্বাইয়ের বিশেষ আদালতের পদ্ধতিগত ত্রুটির কথা জানিয়ে মমতাকে পাঠানো মুম্বাইয়ের মাঝগাঁও নগর দায়রা আদালতের সমন খারিজ করে দিয়েছিল। পাশাপাশি জাতীয় সঙ্গীতের অবমাননা সংক্রান্ত অভিযোগের প্রেক্ষিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করার বিষয় নতুন করে সিদ্ধান্ত নিতে বলেছিল নগর দায়রা আদালতকে।

বিশেষ আদালতের বিচারক আরএন রোকরের সে নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়েছিলেন তৃণমূল নেত্রী। বম্বে হাইকোর্টে তার আবেদন ছিল পদ্ধতিগত ত্রুটির কারণে নিম্ন আদালতের সমন খারিজের পরিবর্তে সমগ্র অভিযোগটি খারিজ করে দেওয়া উচিত। কিন্তু বিচারপতি বোরকর জানান, নগর দায়রা আদালতের রায়ে ত্রুটি ছিল। এতে বম্বে হাইকোর্টের হস্তক্ষেপের কোন প্রয়োজন নেই।

২০২১ সালের ১ ডিসেম্বর মুম্বাইয়ের কাফের প্যারেডে যশবন্ত রাও চৌহান প্রেক্ষাগৃহে একটি কর্মসূচিতে যোগ দিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে সভার শেষে চেয়ারে বসেই তিনি জাতীয় সঙ্গীতে গলা মিলিয়েছিলেন বলে অভিযোগ। এমনকি জাতীয় সঙ্গীত সম্পূর্ণ না গেয়েই হঠাৎ জাতীয় সঙ্গীত থামিয়ে দিয়ে মঞ্চ ছেড়ে বেরিয়ে যান বলে মুম্বাইয়ে বিজেপি নেতা বিবেকানন্দ গুপ্ত অভিযোগ তোলেন। এরপর বিবেকানন্দ বিষয়টি নিয়ে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছিলেন, কিন্তু পুলিশ কোনো পদক্ষেপ না করায় মুম্বাইয়ের মাঝগাঁও নগর আদালতে অভিযোগ করেন তিনি। মমতাকে সমন পাঠায় আদালত। ২০২২ সালের ২ মার্চ মমতাকে আদালতে হাজির হওয়ার কথা বলা হয়, কিন্তু সমনের পদ্ধতিগত ত্রুটির কথা জানিয়ে নতুন করে এফআইআর দায়েরের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে বলেছিল মুম্বাইয়ের বিশেষ আদালত। কিন্তু এরপর নিম্ন আদালতের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানালেও, বোম্বে হাইকোর্টে স্বস্তি মিললো না মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *