রাজেন রায়, কলকাতা, ১২ জুন: রাজ্যের বিন্দুমাত্র প্রশাসনিক গাফিলতিকে হাতিয়ার করতে সুযোগ ছাড়েন না রাজ্যপাল। পুলিশ বিক্ষোভ এবং করোনা পরিস্থিতি নিয়েও ক্রমাগত রাজ্যকে বিঁধে গিয়েছেন তিনি। এর মধ্যেই লোহার হুক দিয়ে টেনে হিঁচড়ে মৃতদেহ ভ্যানে তোলার একটি ভিডিও গত দু’দিন ধরে ভাইরাল হয়ে গিয়েছে। এবার একেবারে সটান রাজ্যকে ট্যুইট বিদ্ধ করতে ছাড়লেন না রাজ্যপাল। সরাসরি কলকাতা পুরসভার কমিশনার ও চেয়ারপারসনের থেকে এ বিষয়ে ব্যাখ্যা চাইলেন তিনি।
https://twitter.com/jdhankhar1/status/1271285082095906817?s=19
বৃহস্পতিবার সকালে গড়িয়া শ্মশানে একসঙ্গে আনা ১৩টি লাশ পোড়ানোর চেষ্টা করা হলে বাধা দেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তবু হুক দিয়ে দেহগুলি নামিয়ে পোড়াবার চেষ্টা হয়। চাপের মুখে পড়ে লাশগুলি ফের গাড়িতে চাপিয়ে পুরকর্মীরা ফেরত চলে যান।
https://twitter.com/jdhankhar1/status/1271287481850138624?s=19
শুক্রবার সকালে তিনি টুইট করে বলেন, “ওই মৃতদেহগুলি কোভিড আক্রান্তদের কি না সেটা আসল প্রশ্ন নয়। সেটা তো প্রমাণ সাপেক্ষ। আসল বিষয় হল, মৃতদেহ কি ওভাবে টেনে নিয়ে যাওয়া যায়! পশুদের সঙ্গেও ওরকম কেউ করে না।” তাঁর কথায়, ‘এই ঘটনাকে খাটো করে দেখাতে যাঁরা নানান কথা বলছেন, তাঁদের জিজ্ঞেস করছি, ভেবে দেখুন তো ওঁরা কেউ যদি আপনার কাছের কেউ হত? নিজেদের বিবেকের কাছে প্রশ্ন করুন।’ বিষয়টি নিয়ে স্বরাষ্ট্রসচিবের কাছেও জবাবদিহি চেয়েছেন তিনি।
https://twitter.com/jdhankhar1/status/1271406151129690114?s=19
যদিও এই বিষয়টি নিয়ে শাসক দলের তরফে কোনও মন্তব্য পাওয়া যায়নি। বিষয়টি নিয়ে শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে জিজ্ঞেস করা হলে তিনিও ‘আমি স্বাস্থ্যমন্ত্রী নই’ বলে দায় ছেড়ে দিয়েছেন। ফের প্রশাসনিক অস্বস্তিকে হাতিয়ার করে বাউন্ডারির বাইরে ছক্কা হাঁকিয়ে রাজ্যপাল প্রমাণ করলেন, কোনও অসামঞ্জস্য তিনি বরদাস্ত করবেন না।