আমাদের ভারত, ৩ এপ্রিল:
রাজ্য সরকারের গোয়েন্দা দপ্তর সিআইডিকে এবার ঘেঁয়ো কুকুর বলে কটাক্ষ করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তিনি বলেন, “শিবপুর কাণ্ডে সিআইডি কেমন তদন্ত করবে সেটা জানা আছে। সিআইডি আসলে মুখ্যমন্ত্রীর পোষা কুকুর। তিনি বললে ঘেউ ঘেউ করে, না বললে করে না।” একই সঙ্গে শিবপুর ও রিষড়ার ঘটনার পর যেভাবে একটি নির্দিষ্ট সম্প্রদায়ের হয়ে মু্খ্যমন্ত্রী কথা বলছেন তাতে হিন্দুরা আর তার প্রতি ভরসা রাখতে পারবেন না বলে দাবি করেছেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি।
সুকান্ত মজুমদার স্মরণ করিয়ে দেন, ২০১৮ সাল থেকে রাজ্যে শাসক দলের বিধায়ক সত্যজিৎবাবুর হত্যাকাণ্ডের তদন্ত করছে রাজ্যের গোয়েন্দা দপ্তর। কিন্তু আজ অব্দি সেই তদন্ত শেষ করতে পারিনি সিআইডি। তাঁর কথায়, “আসলে দিদি যা বলে ওরা তাই করে। শিবপুর কাণ্ডের তদন্ত ধামা চাপা দেওয়ার জন্য যাতে কোনো কেন্দ্রীয় সংস্থা তদন্ত করতে ঢুকে না যায়, তাই তড়িঘড়ি সিআইডিকে তদন্তভার দেওয়া হয়েছে।”
সুকান্ত আরও দাবি করেন, “ওখানে কর্তব্যরত পুলিশদের সরিয়ে দিলেই আসল চেহারা প্রকাশ পেয়ে যাবে।” তাঁর অভিযোগ, ঘটনার দিনে যে হার্মাদরা ঢুকে হামলা চালিয়েছিল, পরের দিনেও পুলিশ নিষ্ক্রিয়ভাবে উপস্থিত থেকে সেই হার্মাদদের হামলা করতে দিয়েছে।
পুলিশের ভূমিকা তীব্র সমালোচনা করে বিজেপি সভাপতি বলেছেন,”মিছিলে অংশগ্রহণকারীদেরই পুলিশ শাসাচ্ছে। তিনি প্রশ্ন তোলেন, মানুষ কি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও পুলিশের কথা শুনে রাম নবমীর মিছিলে অংশ নেওয়া বন্ধ করবে?”
একই সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীকে মিথ্যাবাদী বলে আখ্যা দিয়ে তিনি বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী মিথ্যে কথা বলছেন যে মিছিলের রুট পরিবর্তন করা হয়েছে। কারণ রুটের জন্য অনুমতিপত্র আয়োজকরা প্রকাশ্যে দেখিয়েছেন। তার পাল্টা হুঁশিয়ারি “আগামী দিনে আরো দ্বিগুণ সংখ্যাতে রামনবমীর মিছিল হবে।”
শিবপুরে দাঙ্গার জন্য রাজ্যের শাসক দলের বিরুদ্ধে পুলিশি নিষ্ক্রিয়তা ও তাদের দায়িত্ব পালন করতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ করেছেন। সুকান্ত মজুমদারের অভিযোগ, “শিবপুরে পিএম বস্তি ও ফজি বাজারে একই ঘটনা ঘটছে, অথচ পুলিশ ব্যবস্থা নেয়নি। ঘটনার দিন যেসব হামলাকারী ছিল তারা কোনও সম্প্রদায় তার ভিডিওগুলিতে স্পষ্ট হয়ে যায়। তাঁর দাবি, এই ঘটনার পরে কোনও হিন্দু মুখ্যমন্ত্রীর উপর ভরসা রাখতে পারবে না।
বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীরও একই দাবি করে বলেছেন, এটা পূর্বপরিকল্পিতভাবেই করানো হয়েছে। রাজ্যে দুর্নীতির ইস্যু থেকে মানুষের দৃষ্টি ঘুরিয়ে দেওয়া এবং সাগরদিঘীতে হেরে যাওয়ার পরে মুসলিম ভোটকে নিজেদের পক্ষে নিয়ে আসতে পুলিশকে দিয়ে শিবপুরে দাঙ্গা সৃষ্টি করা হয়েছে।